1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে খুন করা সেই স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১, ০১:২৩ পিএম ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে খুন করা সেই স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ছবিঃ সংগৃহীত

ফেনীঃ পৌরসভার বারাইপুরে ফেসবুক লাইভে এসে গৃহবধূ তাহমিনা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় তার স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামি টুটুলকে ৫০ হাজার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের এ  রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ওবায়দুল হক টুটুল ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকার গোলাম মাওলা ভূঁঞার ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহামেদ জানান, জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে গত মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল সাত্তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। যুক্তিতর্ক শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা। 

মৃত তাহমিনার বাবা সাহাব উদ্দিন বলেন, ন্যায়বিচার পেয়েছি। বিচার এবং সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

রায়ের বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, অল্প সময়ে মামলাটির বিচার কাজ শেষ হয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। আমরা সুবিচার পেয়েছি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার বলেন, আমরা সুবিচার পায়নি। সুবিচারের জন্য উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করবো।

এর আগে মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সাইফুদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে গত রোববার এ মামলার এ পর্ব শেষ করেন আদালত। এ মামলায় বাদী, ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও পুলিশসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ মামলায় ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ১৫ এপ্রিল শহরের উত্তর বারাহীপুর ভূঞাবাড়িতে দাম্পত্য কলহের জের ধরে ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে হত্যা করে টুটুল। পরে হত্যাকারী টুটুল নিজেই ৯৯৯-এ খবর দিয়ে পুলিশকে জানায়। 

খবর পেয়ে ফেনী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে টুটুলকে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও ফেসবুকে প্রচার চালানো মোবাইল জব্দ করে।

এ বছরের ১৩ জানুয়ারি নিহত গৃহবধূর বাবা ও মামলার বাদী সাহাবউদ্দিনের প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আগামীনিউজ/বুরহান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner