বরগুনাঃ জেলার বেতাগীতে এক কিশোরী ধর্ষনের অভিযোগের তদন্ত হয়েছে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর একটায় তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসার তার কার্যালয় অভিযোগকারী, অভিযোগের ভিকটিম ও গ্রামবাসীদের সশরীরে ডেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষনের অভিযোগ উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের জোয়ার করুনা গ্রামের মৃত মেনাজ উদ্দিনের ছেলে মো: আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। চলতি বছরের গত ১৭ জুন বিকেলে ৫ টায় ঘরে কেউ না থাকার সুবাধে তিনি কিশোরীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে। অনেক চেষ্টার পরেও কিশোরী তাকে রোধ করতে না পারায় কিশোরী কান্নায় ভেঙে পড়ে। কান্না শুনে পাশের লোকজন এসে দরজা বন্ধ দেখে কিশোরীকে ডাক দেয়। তা টের পেয়ে আবুল কালাম খাটের নীচে লুকিয়ে থাকার পর এক পর্যায় লোকজন বেশি জড়ো হওয়ায় ভয়ে সে জ¦ানালা ভেঙে পালানোর চেষ্টা করলে সেখানেই আটকে পড়ে। মারধরে উপস্থিতিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি গোপন রাখার অনুরোধ করায় তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও কিশোরীর পরিবার গরীব হওয়ায় তাদের অসহায়াত্বের সুযোগ নেয় আবুল কালাম।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আবুল কালাম স্থানীয় কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও মাতুব্বরদের ম্যানেজ করে ধর্ষনের ঘটনায় ‘সালিশ’ বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্বেও তাদের দিয়ে ধর্ষিতার পরিবারটিকে আপোপসের জন্য ব্যাপকভাবে চাপ সৃষ্টি করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মোটা অঙ্কের টাকায় আপোষের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করতে গিয়েও তিনি নানা প্রতিবন্ধকতায় আর মামলার পথে আগাতে পারেননি। তবে এ টাকায়ও সিংহভাগ ভাগ বসায় মাতুব্বররা।
এতে স্থানীয় ক্ষুদ্ধ নাগরিকরা ঘৃণ্য কর্মের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এ প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক কার্যালাড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন পেশের নিদের্শনা দেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, অভিযোগকারী ও অভিযোগের ভিকটিম সশরীরে ডেকে তাদের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য নেওয়ার মাধ্যমে তদন্তের কাজ শুরু করেছি। তদন্ত সম্পন্ন হলে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
আগামীনিউজ/শরিফ