রামপাল (বাগেরহাট): টানা বৃষ্টিতে পানিতে ভাসছে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বিস্তির্ন এলাকা। হঠাৎ করেই এমন টানা বর্ষনে ভাসবে, একেবারে ভাবা যায়নি। গতকাল রাত থেকে চলা একটানা বৃষ্টিপাতে জলে তলিয়েছে উপকূলীয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা।
বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী এখন আশ্বিন মাস। সে হিসাবে শুভ্রতা নিয়ে শরৎকাল এলেও হঠাৎ নিম্নচাপ যেন তাতে বাঁধ সাধলো। যদিও বর্ষার মৌসুম জুড়েই ছিলো প্রখর রোদের দাপট।
লঘুচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর থেকেই শুরু হয় টানা বৃষ্টিপাত। রাত বাড়তেই সেই বৃষ্টির পরিমানও যেন বাড়তেই থাকে। সারারাত ধরে অতিবৃষ্টির কারনে বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ী তলিয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে বেশকিছু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।
সরেজমিনে দেখাযায়, রামপাল উপজেলার সদর, গৌরম্ভা, ভাগা, শোলাকুড়া, গিলাতলা, বাঁশতলীর কিছু অংশ, রাজনগর ও বাইনতলা ইউনিয়নের অনেক এলাকার রাস্তাঘাট জলে ডুবে গেছে।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন মৎস্য ঘের মালিক জানান, তাদের মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়িঘরে যাবার রাস্তা তলিয়ে হাটু পানির নিচে। রামপাল সদর এবং ফয়লাহাটের প্রধান সড়কটি দেখে বোঝার উপায় নেই এটি চলাচলের রাস্তা নাকি খাল। ভেঙ্গে গেছে বেশ কয়েকটি উপকূলীয় ভেড়িবাঁধ। অনেকের বাড়ির উঠানে পানি কোমর ছাড়িয়েছে।
বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলে অনেকের বাড়ির রান্নাঘরে পানি ঢুকে পড়ায় জ্বলেনি চুলো। বন্ধ রয়েছে রান্নাবান্না। শুকনো খাবার খেয়ে একরকম দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন তারা। অতি বৃষ্টির কারনে নদীতে পানির স্তর বেড়ে যাওয়া ও সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকার কারনে পানি সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহর কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ট্রেনিংয়ে যোগ দিতে এখন তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। রাত নাগাদ তিনি পুরো তথ্য জানাতে পারবেন।
রামপাল ইউএনও মোঃ কবীর হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, জরুরী মিটিং থাকায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি সঠিক তথ্য জানতে পারেন নি। রাত নাগাদ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে তিনি জানাবেন বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।