1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

রামুর বৌদ্ধপল্লি ট্র্যাজেডির ৯ বছর: সাক্ষীর অভাবে থমকে আছে বিচার

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০১:০৪ পিএম রামুর বৌদ্ধপল্লি ট্র্যাজেডির ৯ বছর: সাক্ষীর অভাবে থমকে আছে বিচার
ফাইল ছবি

কক্সবাজারঃ জেলার রামুর বৌদ্ধ পল্লীতে হামলার ৯ বছর আজ। ২০১২ সালের এই দিনে ইতিহাসের বর্বর ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছিল ধর্মীয় সম্প্রীতির এ লীলাভূমিতে।এ ঘটনার পর থেকে শত বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বড় ধরনের ফাটলের সৃষ্টি হয়।

তবে বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগে ইতোমধ্যে সেই চিড় ধরা ধর্মীয় সম্প্রীতি আবার জোড়া লেগেছে। হারানো সেই সব বৌদ্ধ স্থাপনা আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।কিন্তু ঘটনার ৯ বছরেও সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশায় রয়েছেন রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ। মামলার চার্জশিট দাখিল নিয়ে রয়েছে চরম অসন্তোষ।

বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাধারণ জনগণ বলছেন, এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত অনেক মানুষ মামলার আসামি নন। এক্ষেত্রে তদন্তে ব্যাপক অনিয়মের কথাও বলছেন তারা।আদালত সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার পর কক্সবাজারের চারটি উপজেলায় ১৮টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আরও একটি মামলা করা হলেও তা পরে উঠিয়ে নেওয়া হয়।

পুলিশের দায়ের করা ১৮টি মামলা এখনও চলমান। চার্জশিট হলেও সাক্ষীদের অনীহার কারণে এখনও মামলাগুলো আলোর মুখ দেখছে না।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্তমানে সাক্ষী দিতে না আসায় মামলাগুলো ঝুলে আছে। যদি তারা সাক্ষী দিতে আসে তাহলে একটি সুষ্ঠু বিচার হতো। সাক্ষীরা না আসায় এখন কিছু করা যাচ্ছে না। তাই মামলাগুলো আলোর মুখ দেখছে না।তিনি আরও জানান, ১৮টি মামলা আদালতে বিচারের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন সাক্ষ্য না দেওয়ার কারণে বিচারকাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

জানতে চাইলে বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, ঘটনার ৯ বছর পর বৌদ্ধরা নিরাপত্তায় রয়েছে। কিন্তু মামলার প্রক্রিয়াটি আরও যাচাই-বাছাই জরুরি। এতে যেসব নিরীহ লোকের হয়রানি হচ্ছে, তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃতদের আসামি করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, বর্তমানে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ খুবই ভালো আছে। তাদের মধ্যে আবারও সেই শত বছর আগের সম্প্রীতি ফিরে এসেছে। যে ঘটনা ঘটেছে, তার খত এখন আর নেই। সবকিছু বদলে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গুজবের জেরে রামুর ঘুমন্ত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। ভাঙচুর করা হয় শত বছরের মূর্তি ও মন্দির। আগুনের লেলিহান শিকায় চাপা পড়ে যায় রামুর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner