দিনাজপুরঃ জেলার পার্বতীপুর বাবলু মিয়া (৩৪) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুমজাল। বাড়ি থেকে বের হওয়ার ১২ ঘন্টা পর পাশের গ্রামের বিদেশী রায় নামে তার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে বাবলু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি বাবুলের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
গত ৭ আগষ্ট রোববার গভীর রাতে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার মাধমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের শহিদুল ইসলাম সাইদুলের ছেলে।
ঘঢ়টনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হরিরামপুর ইউনিয়নের মাধমাপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্যে বাবুল সবার ছোট। তিনি মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিঃ এর ভূ-গর্ভস্থ মেকানিক্যাল বিভাগে কাজ করতেন। স্ত্রী তারিফা বেগম ও দুই ছেলে মোনায়েম ইসলাম প্রিন্স (১৪) ও তহিদুল ইসলাম (১৩) কে নিয়ে সুখে শান্তিতে তাদের দিন কাটছিলো। কিন্তু হঠাৎ এক দমকা হাওয়ার মতো বাবুলের মৃত্যু কেড়ে নিয়েছে এ পরিবারের মুখের হাসি। বাবুল মিয়া এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে আছেন পরিবার ও এলাকাবাসীর কাছে।
নিহত বাবুলের বড়ভাই মতিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যায় বেলাল হোসেন বেলজিয়াম ও জুলফিকার নামে বাবুলের দুই বন্ধু তাদের বাড়িতে আসে। এসময় তারা বাবুলের সাথে কথা বলে ওই মোটর সাইকেলেই তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
পরদিন সকালে বন্ধু বিদেশী রায়ের মাধ্যমে বাবুলের মৃত্যুর খবর জানতে পারে তার পরিবার। বিদেশী রায় মতিকুল ইসলামকে জানান, বাবুল অচেতন অবস্থায় তার ঘরে আছে। সে শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছে না। পরে মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এসময় বাবুলের বাম হাতে ও ডান পেটের নিচের অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান এলাকাবাসী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাৎক্ষনিক বাবুলের বন্ধু বিদেশী রায়কে গ্রেপ্তার করে। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত শেষে পরদিন মঙ্গলবার বিকালে বাবলুর লাশ দাফন করা হয়। বাবুলের পরিবার কোন ভাবেই এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তাদের দাবি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বাবুলের মৃত্যুর জন্য দায়ি ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ব্যাপারে মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সান্দেহে বিদেশী রায়কে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর মামলাটি নির্ভর করছে। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে পাওয়া গেলে এতে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।