1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মেঘনার ভাঙনে অনিশ্চিতায় তিন বিদ্যালয়ের ভবিষ্যত

মো: মামুন, দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ০৬:৪২ পিএম মেঘনার ভাঙনে অনিশ্চিতায় তিন বিদ্যালয়ের ভবিষ্যত
ছবি: আগামী নিউজ

ভোলাঃ জেলার দৌলতখানে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া হাজিপুর ইউনিয়নের তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মধ্য-মেঘনায় অবস্থিত দ্বিপ ইউনিয়ন হাজিপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিদ্যালয় তিনটি। 

সহস্রাধিক পরিবারের প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ বসবাস করতেন ওই ইউনিয়নে। ওই চরে ভূমিহীনদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সরকারি আবাসনের ৪২০ টি ঘর, ব্যক্তি পর্যায়ের পাঁচ শতাধিক ঘর ও তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গত ছয় মাসের মধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ ছাড়া একটি বাজার কয়েকটি মসজিদ নদী গর্ভে চলে যায়। 

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই ইউনিয়নের সর্বশেষ পাকা স্থাপনা ৫০ নং মধ্য হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য প্রতিষ্ঠিত তিন তলা ভবনটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ওই ভবনটি ২০২০ সালে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় নির্মিত হয়েছিল। নদী ভাঙনে বিলীন হওয়া বিদ্যালয় তিনটি হচ্ছে, ৫০ নং মধ্য হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯৩ নং দক্ষিণ নলডুগী বৈকুন্ঠপুর জাতীয়কৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০১ নং হাজিপুর জাতীয়কৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরমধ্যে ১০১ নং হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি টিন সেড হওয়ায় ওই বিদ্যালয় ভবনের মালামাল ও আসবাবপত্র সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। বাকি দুইটির পাকা ভবন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে। 

বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেঘনা নদীর ভাঙনের শিকার বিদ্যালয় তিনটি উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ডে অস্থায়ী ভাবে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। ভাঙন পূর্ববর্তী কোন শিক্ষার্থীই বর্তমানে বিদ্যালয়ে না থাকলেও প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ভর্তিও জন্য এলাকায় হণ্যে হয়ে অ-ভর্তিকৃত ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থী খোঁজ করছেন। ১০১ নং হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরে আলম বাহাদুর বলেন, নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বিদ্যালয়গুলো স্থানান্তরিত হয়েছে। এ বছর শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলেও আগামী বছর বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী পেতে কোন সমস্যা হবে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয় তিনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছি।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner