1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

সুরিয়া নদী ভাঙনের কবলে বসতবাড়ি-গ্রামীণ সড়ক

হলি সিয়াম শ্রাবণ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১, ০৪:৫১ পিএম সুরিয়া নদী ভাঙনের কবলে বসতবাড়ি-গ্রামীণ সড়ক
ছবি: আগামী নিউজ

ময়মনসিংহঃ জেলার গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরিয়া নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে কুমড়ী গ্রামের অর্ধশত পরিবার। অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে সুরিয়া নদীর স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে এই প্রবল ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সারা দেশের বিভিন্ন নদ-নদী খনন করা হলেও এই নদী খনন না করার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে এবং আকস্মিক ভাঙন দেখাদিয়েছে।এতে বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্রে। পাশাপাশি বিনষ্ট হচ্ছে বসত বাড়ি, অনেক ফসলি জমি ও রাস্তাসহ নদী পাড়ের বিভিন্ন কাঁচা-পাঁকা স্থাপনা।

স্থানীয়দের দাবী, এখনি নদী ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে, কয়েকশ একর আবাদি-ফসলী জমি ও ভিটে-মাটিহীন হয়ে পড়তে হবে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরিয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কুশ্বাপাড়া,নয়ানগড় ও কুমড়ী গ্রামের ফসলি জমি, বসতভিটা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈদগাহ মাঠ ও কুমড়ী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার রাস্তাসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে অনেকের কয়েক একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নদীর পাড়ের বাসিন্দা আবুল হাসেম ও সাইফুল ইসলাম বলেন,অনেক পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নদীর পারে দিন যাপন করছে, কিছু পরিবারের ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অন্যত্র নতুন বাড়ি নির্মান করে বসবাস করছেন।

কুমড়ী গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ মতিউর রহমান বলেন, আমার আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, এমনকি আমার বসত ঘরটি অর্ধেকের বেশী নদী গর্ভে চলে গেছে তাই ঘরটি তাড়াতাড়ি সরিয়ে অন্য জায়গায় বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কুমড়ী গ্রামের শামীম বলেন, এই সুরিয়া নদীর পাড়ে আমরা অর্ধ শতাধিক পরিবারের বসবাস। আমাদের ফসলী জমি যা ছিল এই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এখন বাড়িটিও নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ার পথে। যে জায়গায় নদীটি বাক দিয়েছে সেই জায়গায় যদি ১০০ ফুটের মতো কেটে দেয়া যায়, তাহলে আমরা এ ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে পারতাম।

মাওহা নয়ানগড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সুরিয়া নদীর ভাঙনের কবলে আমার স্কুলের প্রায় তিন শতাংশের রাস্তা নদী গর্ভে চলে গেছে, স্কুলটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ভাঙনের বিষয়ে তথ্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো ভাঙনরোধে কেউ কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়নি। 

নদী ভাঙন প্রসঙ্গে মাওহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন স্বপনের সাথে একাধিকবার  মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তিনি প্রতিবেদকের কল কেটে দেন।

অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ বলেন, নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা স্কুলের শিক্ষকরা এখনো কেউ আমাকে জানায়নি। তবে আমি বিষয়টি জেনে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানাবো।

এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুসা জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি, সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নিব।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner