
বরগুনা: মাছ বাজারে মাইকিং করে প্রতি কেজি ইলিশ ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বরগুনা জেলায় এই প্রথম ইলিশের কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে ও ইলিশের দাম ছিল ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা। সপ্তাহের প্রথম দিকের তুলনায় দামে কম থাকায় বেশি পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে বলেন ইলিশ বিক্রেতা
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাড়ে পাঁচ টার দিকে বরগুনা পৌর শহর মাছ বাজার সামনে রাস্তার পাশে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। আশেপাশের ব্যবসায়ী কম দামে ইলিশ বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমাদের কেনা বেশি থাকার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই আমাদের কাছে ক্রেতা আসেনা।
ইলিশের দাম কম থাকার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা বলেন, কুয়াকাটা থেকে বেশি পরিমাণে ইলিশ আনার কারণে আমরা কম দামে বিক্রি করতে বাড়ি। তিনি আরো বলেন,পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছের দাম একটু বেশি তাই কুয়াকাটা থেকে কম দামে ইলিশ কিনে বরগুনার বিভিন্ন ছোট বাজারে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করে থাকি আমরা।
ইলিশ বিক্রেতা ইমরান বলেন, মাইক দিয়ে বিক্রি করার একটি উপকারিতা আছে। বেশি মানুষকে জানানো যায় ফলে বিক্রিও বেশি হয়। আমাদের ইলিশ ভালো ইলিশ কম দামে আমরা সব সময় বিক্রি করে থাকি কারণ আমরা কুয়াকাটা থেকে ইলিশ কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি।
মিজানুর রহমান নামে ইলিশ ক্রেতা বলেন,বাজারে ৬০০ /৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনতে গেলেও কমপক্ষে ৯০০-১২০০টাকা লাগে। সেখানে ৩৫০ টাকায় ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ পাচ্ছি। এটাই তো ভালো। অন্যান্য ইলিশের তুলনায় নরম ও একটু বেশি মরা তাই কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
অন্য এক ক্রেতা সাইদুল বলেন, মাছ কিনেছি ৩৫০ টাকা কেজি দরে তবে মাছ অনেক দিনের আগের ফ্রিজে ছিল তাই কম দামে বিক্রি হচ্ছে এখন। কেন এত কমদামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাজারে প্রচুর ইলিশ আছে তাই কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের মাছের দাম এখনো বেশি।
তিনি আরও বলেন, চলতি সপ্তাহের মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম সাধারণ মানুষ খুশিতে মাছ কিনছে। সাগরে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ ধরা পড়ার কারনেই দাম কমেছে বলে জানান তিনি।
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পরিচালক বলছেন, গত মাসের শেষের দিকে সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে তাই ইলিশের দাম কমতে শুরু করেছে। গত বছরের তুলনায় ইলিশের দাম কম আছে।