1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

রাজীবপুর ও রৌমারীতে বন্যায় ডুবছে বসতবাড়ি ফসলী জমি

রাজীবপুরে(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১, ০৮:৪২ পিএম রাজীবপুর ও রৌমারীতে বন্যায় ডুবছে বসতবাড়ি ফসলী জমি
ছবিঃ আগামী নিউজ

কুড়িগ্রামঃ গত ৬ দিন থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। শুক্রবার  সকাল ৬ টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।গত ১২ ঘন্টায় মাত্র ১ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। 

পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী রাজীবপুর ও রৌমারী উপজেলায় প্রতিনিয়ত বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন গ্রাম ডুবছে ফসলের জমি। পানিবন্দি হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।  

পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে। রাজীবপুরের কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু জানান,তার এলাকার চর সাজাই,পাইকেন্টারী,উত্তর কোদালকাটি, শংকর মাধবপুর,বিলপাড়া, সহ আরও কয়েকটি গ্রাম এবং রোপা আমন ধানের জমি বন্যায় ডুবে গেছে।

রাশেদুল ইসলাম নামের এক কৃষকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,৪ বিঘা জমি আমন ধান লাগাইছি বানের পানিত ৩ দিন থিকা ডুইবা আছে।এহন পানি কমলে সেই ধান আবার হবো কিনা বুঝতাছি না। একই ধরনের অভিমত ব্যাক্ত করেন এরশাদ আলম সহ আরও কয়েকজন কৃষক। তাদের সকলের ফসলের জমি এখন পানির নিচে। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা শংকর মাধবপুর গ্রামে। এই গ্রাম প্লাবিত হওয়ার মানুষজন বসতবাড়ি ছেড়ে অনত্র আশ্রয় নিয়েছে।

মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন,কীর্ত্তণতারী, বড়বেড়,নাওশালা,নয়ারচর গ্রাম গুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।এসব এলকার মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা দরকার।

উপজেলার চর, দ্বীপ চর গুলো বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার কারনে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে সেখানকার কৃষকরা। গবাদিপশুর জন্য বাজার থেকে কেনা খাদ্যের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় দামও কিছুটা বেড়েছে পশুখাদ্যের। 

সদর ইউনিয়নের মদনেরচর, টাঙ্গালিয়া পাড়া,বদরপুর,বালিয়ামারী গ্রাম গুলো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইতিমধ্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে বানভাসি পরিবার গুলোর মাঝে।

রাজীবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় ১৬৫০ হেক্টর রোপা আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।এছাড়াও ২৫ হেক্টর বীজতলা এবং ২০ হেক্টর জমির সবজি ফসল বন্যার পানিতে ডুবছে।

রাজীবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন,ধানের জমি পানিতে ডুবলেও তিনি আশা করছেন তেমন ক্ষতি হবে না। জমি থেকে পানি নেমে গেলেই নিয়মিত পরিচর্যা করলে ধান হবে।

রৌমারী উপজেলায়ও বন্যায় ডুবে গেছে চরশৌলমারী, বন্দবেড়,ও যাদুর চর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম।

রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কাইউম চৌধুরী বলেন,২ হাজার ৮০০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি,বিভিন্ন সবজি ফসল ও বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। 

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান জানিয়েছেন,  বন্যার্তদের জন্য ৩০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা জরুরি বরাদ্দ দেওয়া আছে।তালিকা প্রস্তুত করে দ্রুত এগুলো ক্ষতিগ্রস্থ দের মাঝে বিতরণ করা হবে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) আজিজুর রহমান বলেন, রাজীবপুর ও রৌমারী উপজেলার বন্যার্তদের জন্য খাদ্য সহয়তা মজুত আছে।এগুলো পর্যায় ক্রমে বিতরণ করা হবে।

রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবিরুল ইসলাম বলেন, চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ আছে বানভাসি মানুষের জন্য।সঠিক ভাবে তালিকা প্রস্তুত করে এগুলো বিতরণ করা হবে।ইতিমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা  দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner