যশোর: ভাল কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচারের শিকার সাত যুবতীকে দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকালে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা যুবতীরা হলেন, যশোরের অভয়নগর উপজেলার শিরিনা বিশ্বাস (২৪), কুড়িগ্রামের আজ্ঞুমা সুমি (২২), ফরিদপুরের মৌসুমি খাতুন (২৩), চট্রগ্রামের রিয়া আক্তার (২৪), মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার সোহাগী আক্তার মিম (২৪), খাগড়াছড়ির জাকিয়া আক্তার (২৩) ও সুনামগঞ্জের সুমি আক্তার (২৩)। গত দুই বছরে বিভিন্ন সময় এরা ভারতে পাচার হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ইমিগ্রেশনের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনী সহায়তা দিতে এসব যুবতীদের জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা গ্রহন করেছে।
পাচারের শিকার যুবতীরা জানান, ভাল কাজ দেওয়ার নাম করে তাদেরকে সীমান্তে অৈেবধপথে ভারতে নেয় দালালরা। পরে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরছে তারা।
যুবতীদের গ্রহনকারী এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়ার প্রোগ্রামার অফিসার এবিএম মুহিত হোসেন জানান, ভাল কাজের প্রলোভনে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে এসব যুবতীরা দুই বছর আগে ভারতে যায়। এসময় পাচারকারীরা তাদের ভাল কাজ না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে। খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে ভারতীয় একটি এনজিও সংস্থা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। পরে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে এদের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফেরত আনা হয়।
এসময় তিনি আরো জানান, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারনে নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের যশোর গাজীর দরগায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখা হবে। কোয়ারেন্টাইন শেষে যশোর নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।