বরগুনাঃ জেলার বেতাগীতে বাৎসরিক ২ হাজার ৮ শত টন মাছ উৎপাদনের বিপরিতে উৎপাদন হয় ৩ হাজার ৬০ টন। বছরে উদ্বৃত্ত থাকে ২৬০ টন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও জানান, এ উপজেলায় ১১ হাজার ৬২৩ টি পুকুর রয়েছে যার আয়তন ৪২৬.০২ হেক্টর। এ পুকুর থেকে মাছ উৎপাদন হয় ৬৫০ টন। বেসরকারী জলমহাল (বিল) ০৭টি যার আয়তন-২৮৪ হেক্টর। মাছ উৎপাদন-১৪২ টন। বেসরকারী প্লাবন ভূমি ১৪টি, আয়তন-৫৭০ হেক্টর। মাছ উৎপাদন হয় ৪২৩ টন। খালের সংখ্যা ৪০টি যার আয়তন ৩ হাজার হেক্টর। মাছ উৎপাদনের পরিমান ২৫৯ টন। নদী খন্ড ১টি যার আয়তন-৪ হাজার ২শত হেক্টর, আনুমানিক মাছ উৎপাদন ১ হাজার ৫৮৫টন।
এর ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮৮ টন। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৭ টি ইউনিয়নের ৪৪ টি প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয় ২৮৭ কোজি পোনা মাছ বিতরণ করে। উপজেলা পরিষদের সম্মুখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সুহৃদ সালেহীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মাকসুদুর রহমান ফোরকান, বিশেষ আতিথি ছিলেন, বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ^ জিৎ কুমার দে, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম পিন্টু, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন, সাপ্তাহিক বিষখালী পত্রিকার সম্পাদক আব্দুস সালাম সিদ্দিকী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো: শামীম সিকদার।
উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে নার্সারী স্থাপন, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন, মৎস্য প্রদর্শনী, পরামর্শ ও প্রশিক্ষন প্রদান, মৎস্যজীবিদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, বছরব্যাপী বিশেষ সেবাদান, দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার দেশীয় মাছ রক্ষায় ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণা, মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে নির্মিত প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন, প্রান্তিক চাষীদের সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মতবিনিময় , পুকুরের মাটি ও পানি পরীক্ষা এ সব কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।