কুমিল্লাঃ জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৩ নং চান্দলা ইউনিয়ন চরের পাথরের রাস্তায় মিয়া বাড়ির পাশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত ভোগান্তিতে আছেন ওই এলাকার সাধারণ জনগন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের খলিফা পাড়া মিয়া বাড়ির পাশের এই গুরুত্বপূর্ন সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় পর এলাকার স্থানীয় জনগণের নিজস্ব অর্থায়নে চলাচলের জন্য বাঁশের এই ব্রিজটি তৈরি করেন এলাকাবাসী।
এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে কিন্তু কোনো গাড়ি বা ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। পাকা ব্রিজ না হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে ৩ কিলোমিটারেরও বেশি পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয় মানুষদের। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। অনেকে কষ্ট করে কাধে করে অসুস্থ ও বৃদ্ধ রোগী এবং নারীদের বিকল্প উপায় হিসেবে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়।
এলাকার রিকশাচালক শাহেদ বলেন, এই বাঁশের সাঁকোটির কারণে আমরা এপার থেকে ওপার যেতে পারি না।
১৫ থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা হেঁটে যেতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় যায় এবং সবারই অনেক কষ্ট পেতে হয়। এই সাঁকোটি যদি পাকা করে দিত, আমরা সহজে চলাচল করতে পারতাম। বর্তমানে সাঁকোটি পুরানো হয়ে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষজন পারাপার হচ্ছে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন দূঘর্টনা। তাই এলাকাবাসীর দাবি বাঁশের এই পুরনো সাঁকো ভেঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব পাকা ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়ার।
ওই এলাকার তরুন সাইফুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ভাই আমাদের এই সাঁকোর কারণে এলাকাবাসী যাতায়াতে খুবই দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং দ্রুত পাকা ব্রিজের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।