1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ভাগ্নেকে অপহরণ করে ৪০ লাখ টাকা দাবি!

আব্দুল মজিদ, নাটোর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১, ০৬:০৯ পিএম ভাগ্নেকে অপহরণ করে ৪০ লাখ টাকা দাবি!
ছবিঃ আগামী নিউজ

নাটোরঃ জেলার বড়াইগ্রামে জেঠাতো ভাগ্নে  শিশু আলহাজ্ব প্রাং(৮) কে অপহরণ করে বন্ধুর মাধ্যমে ঢাকায় পাঠায় মামা কামরুল হাসান(২৫)।  ভুক্তভোগী শিশু আলহাজ্ব বড়াইগ্রাম উপজেলার বাগডোব এলাকার আক্তার প্রাং এর ছেলে। আর অভিযুক্ত কামরুল হাসান একই উপজেলার বাগডোব-লক্ষিকোল এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় ভাড়ায় কার চালক।

অপহরণের পর শিশুটির বাবার কাছে মুক্তিপন চাওয়া হয় ৪০ লাখ টাকা। তবে জেলা পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহারের সাথে নিরলস পরীশ্রম করে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে ওই শিশুকে। আর গ্রেপ্তার হয়েছে ওই মামা।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা মঙ্গলবার (২৪আগষ্ট)  দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আক্তার ভ্যান চালিয়ে জীবন ধারণ করলেও অনেক সম্পদের মালিক।

গত ২২ আগস্ট আক্তার বরাইগ্রাম থানায় একটি অভিযোগে দাবী করেন, আগের দিন ১১ টার দিকে তারা স্বামী-স্ত্রী আলহাজ্বকে বাড়ির পাশের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভ্যান মেরামত করতে পাশের বাগডোব বাজারে যায়। আধা ঘণ্টা পর ফিরে এসে ছেলেকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করা অবস্থায় পরের দিন (২২ আগস্ট) একটি নম্বর থেকে ফোন আসে।

ওই ফোনে আলহাজের সাথে কথা বলিয়ে বলা হয় আলহাজকে পেতে হলে ৪০ লাখ টাকা দিতে হবে আর আলহাজ অসুস্থ্য বলে চিকিৎসার জন্য ৩০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। মামলা দায়েরের পর ৫ টি টীম গঠন করে শিশুটিকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। ওই রাত ১০ টার দিকে লক্ষিকোল এলাকা থেকে আসামী কামরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর কামরুল দোষ স্বীকার করে জানায়, আলহাজকে কাপড় ও চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে সে নিজ ভাড়ায় চালানো কারে করে অপহরণের পর সিরাজগঞ্জের হাটিকুমড়ুল মোড়ে নিয়ে যায়। সেখানে ঢাকা থেকে আসে বগুড়ার দুপচাচিয়া এলাকার রুবেল। রুবেলের কাছেই আছে আলহাজ্ব।

কামরুলকে নিয়ে একটি টীম দুপচাচিয়া ও অপর টীম ঢাকায় যায়। দুপচাচিয়ায় রুবেলের স্ত্রীর মাধ্যমে ঢাকায় রুবেলের শ্বাশুড়ি ও পরে তার মাধ্যমে রুবেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় আলহাজ্বকে উদ্ধার করা হলেও রুবেল পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে-দাবী করেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner