সিরাজগঞ্জঃ জেলার শাহজাদপুরে সোহেল রানা (৩৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শাহজাদপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পিপিডি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সোহেল রানা উপজেলার পৌর সদরের পুকুর পাড় মহল্লার আসাব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার (২৫ জুলাই) সন্ধায় সোহেল রানা বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের মার্কেটে গেলে শাহজাদপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হাসান, হৃদয় খান এবং রানা মিলে বেধরক মারপিট করে। আহত সোহেল রানাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পিপিডি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে কাউন্সিলর নাজমুল হাসানের ভাই পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হওয়ায় ভয়ে অভিযোগ করতে পারছেন না নিহত সোহেলের পরিবার। একই সঙ্গে প্রশাসনকে অবহিত না করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের পাঁয়তারা করছে এই প্রভাবশালী মহল।
তবে কি কারণে এই হত্যা হয়েছে তা কেউ সুস্পষ্ট ভাবে বলতে পারেনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং জনগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নিহত সোহেল রানার মাতা মোছাঃ রোমি বেগম (৬০) আহাজারিতে বলেন, নাজমুল, হ্নদয় আর রানা মিলে আমার ব্যাটাকে মাইর্যা ফালাইছে বাপরে, আমার ব্যাটা কি এমন কইছিলো যার লাইগ্যা মাইর্যা ফালান লাগবে। আমি গরিব মানুষ কার কাছে বিচার চামু। পুলিসেক ডাকছি এহুনো আইছেনাই। ওরা মেলে টেহা আলা তাই পুলিশ আইছেনা।
এ ব্যাপারে নিহতের ভাতিজা শানিম অভিমান করে সাংবাদিকদের বলেন, জান জান নেতা ডাকে এ বিচার আমরা পাবোনা। কে বিচার করবে এদেশে তাদের। যার গেছে সেই বোঝে। আমরা বিচারও পামুনা তাই কাহুর কাছে বিচারও চাই না ।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাহিদ মাহমুদ খান বলেন, আমি কিছুক্ষন আগে খবর পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দ্রুত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। কি কারণে এই মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তের পরে জানা যাবে।