লক্ষ্মীপুরঃ ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করার স্বপ্নে নয়, শুধু বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে সেই সময়ে মিছিল-মিটিং সহ বিভিন্ন দলীয় কর্মকান্ডে প্রথম সারির কর্মী ছিল শ্রমিক আবদুল মালেক বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগের প্রতি তার এমন ভালোবাসা দেখে সেই সময় তাকে পাগলা মালেক নামেও ডাকা হতো এলাকায়। এখনো এই নামে সবাই তাকে চিনেন। বর্তমানে চিকিৎসার অভাবে একটি চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। থাকার নেই কোন ব্যবস্থা।
নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আবদুল মালেক বলেন, ‘যুদ্ধের সময় তিনি গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধা ছিলেন একদিন আমিন বাজার থেকে পূর্ব রাজাপুর পণ্ডিত বাড়িতে মায়ের সাথে দেখা করতে আসেন তখন রাজাকারদের হাতে আটক হন এবং তার ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল কেটে দেওয়া হয় তার সাথে যুদ্ধের মাঠে শাহ আলম, নূর আলম, ছিদ্দিক, আবুল কালাম, মনু মাঝিসহ আরও অনেকে ছিলেন বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্ত্রী-সন্তান নেই থাকার মতো কোন ঘরও নেই তাই কফিল উদ্দিন কলেজের পশ্চিম পার্শ্বে রূহুল আমিনের দোকান ঘরে গত একবছরের বেশি সময় থেকে থাকেন এর আগে তিনি নাটোরে বোনের বাসায় ছিলেন। বোন মারা যাওয়ার পরে ফিরে আসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে বর্তমানে বয়স প্রায় ৭৪ বছরের আবদুল মালেক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পূর্ব রাজাপুর গ্রামের পণ্ডিত বাড়ির মরহুম আফজাল মিয়ার পাঁচ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান
আওয়ামীলীগের পাগলা এই কর্মী অভিযোগ করে বলেন, জেলা ও থানার এমন কোন নেতা নেই যে, তিনি সহযোগিতা জন্য যাননি কিন্তু কেউ সহযোগিতা করেনি এমনকি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় পর্যন্ত তার নাম দেওয়া হয়নি।
বর্তমানে চিকিৎসার অভাবে একটি চোখ অন্ধ হয়ে গেছে জীবনের শেষ সময়ে বিনা চিকিৎসার মৃত্যুবরণ করতে হবে; বলেই কেঁদে দেন এ প্রতিবেদকের সামনে।
স্থানীয় এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় এক সময় রিক্সা চালিয়ে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা হতো এখন তাও পারছেনা কেউ দিলে খেতে পারে, না হয় না-খেয়ে দিন পার করতে হয়। সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে অসহায়দের; আবদুল মালেকও ভাগ্যে কিছুই জোটেনি।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের সাথে আবদুল মালেকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আবদুল মালেক মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা জানিনা তবে সে আমার পাশের বাড়ির হিসেবে বিভিন্ন সময় সাহায্য-সহযোগীতা করার চেষ্টা করি।