1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

গাজীপুরে দুটি মহাসড়কেই গাড়ীর চাপ

মোক্তার হোসেন, গাজিপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১, ০৩:১৬ পিএম গাজীপুরে দুটি মহাসড়কেই গাড়ীর চাপ
ছবি : আগামী নিউজ

গাজীপুরঃ জেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ায় শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকেই এ চাপ সৃষ্টি হয়েছে। কোরবানীর পশু পরিবহনের চাপও রয়েছে যথারীতি। দুটি মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে।

দূরপাল্লার যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার কিছুটা লক্ষণ দেখা গেলেও ছোট ছোট যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী, পশুবাহী যানবাহনগুলোতে তা তেমন চোখে পড়েনি। শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড, চেরাগ আলী, টঙ্গী কলেজগেট, ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, হোতাপাড়া, মাওনা চৌরাস্তা, এমসিএ বাজার, জৈনাবাজার এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহন থেমে থেমে চলাচল করছে। শীনবার সকাল পৌণে আটটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসিএ বাজার এলাকায় লবনভর্তি ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ট্রাকটি উল্টে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সার ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয়। এসময় কমপক্ষে এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে রেকার দিয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত ট্রাকটি সরানোর কাজ করায় থেমে থেমে যান চলাচল করে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। 

মাওনা চৌরাস্তা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, মহাসড়কের এমসিএ বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণে কিছু সময় যানবাহন বন্ধ ছিল। পরে স্বাভাবিক হয়। তবে যানবাহন কোথাও থেমে নেই বলে দাবী করেন তিনি। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের সচেতনতার কাজটিও করছেন পুলিশ সদস্যরা।

গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান, হাইওয়ে পুলিশের সাথে বিট পুলিশও কাজ করছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রত্যেক মোড়ে যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ওভারটেক করতে গাড়ীগুলো বিশেষ সাবধানতা দেওয়া হয়েছে। কোরবানী হওয়ায় পশুর গাড়ীও রয়েছে প্রচুর।

কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে মাঝে মধ্যে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে চন্দ্রা ত্রিমোড় পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে।

ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী বেশ কয়েকজন চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সড়কের ঢাকা অভিমুখী লেনে গাড়ীর চাপ কম। তবে মাঝে মধ্যে পশুবাহী গাড়ীর চাপ থাকলেও জট নেই। কিন্তু ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানাবহনগুলোর লেনে প্রচন্ড চাপ। সড়কের বেশিরভাগ পয়েন্টে যানবাহন কখনও কখনও থেমে থেমে চলছে।

সড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে গাড়ীর জন্য অপেক্ষমান কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাঝপথ থেকে দূরপাল্লার কোনো পরিবহনেই উঠা সম্ভব হচ্ছে না। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো কিনারা করতে পারছে না অপেক্ষমান যাত্রীরা। বাকি সময়ে কোনো গাড়ী পাবেন কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই। সড়কে অনেক গাড়ী কিন্তু সবই যাত্রীতে পূর্ণ।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশের সহকারী কমিশনার(ট্রাফিক) মেহেদি হাসান বলেন, বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় সড়কে যানজট হচ্ছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সে সমস্যা আর থাকত না। এরই মধ্যে যানজট নিরসেন কাজ করছে পুলিশ। যখন গাড়ীর চাপ কিছুটা বেড়ে যায় তখন হয়তো থেমে থেমে যান চলাচল করে। এছাড়া গাড়ী চলছে তবে কোনো কোনো জায়গায় তা ধীরে ধীরে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner