রাজীবপুরে বিধিনিষেধে বাইরে বেড়িয়ে জরিমানা গুনলেন ১৫ জন
রুহুল সরকার, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২১, ০৬:১৬ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন ছিলে আজ বৃহস্পতিবার। বিধিনিষেধের প্রথম দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ১৫ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সকাল থেকে দিনব্যাপি রাজীবপুর উপজেলা শহর প্রায় ফাঁকা ছিলো। রাস্তাঘাটে মাঝেমধ্যে দুএকটি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চোখে পড়েছে। এছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে নি।
প্রথম দিনেই ঘর ঘর থেকে অপ্রয়োজনে বেরিয়ে জরিমানা গুনতে হয়েছে ১৫ জনকে।উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং মাস্ক না পরার অপরাধে তাদের জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জন ব্যবসায়ী এবং ১১ জন পথচারী।
বৃহস্পতিবার সকালে থেকে উপজেলার থানা মোড়, পাঁচ মাথা মোড়, হাসপাতাল গেট,বটতলা, স্লুইস গেট, সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রাধান সড়ক গুলোতে মানুষের চলাচল একেবারেই সীমিত।জরুরী প্রয়োজনে কেউ কেউ ঘরে বাহিরে বের হয়েছেন।তবে প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোর সড়কে মানুষের কিছুটা উপস্থিত ছিলো।
শহরের জরুরি পন্য সামগ্রীর দোকান ছাড়া বাকি সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের নিয়মিত টহল দিচ্চে। মানুষ জনকে সচেতন করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি এবং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর তৎপরতা দেখা গেছে।
মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে এবং করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে মাইকিং করতে দেখা গেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবিরুল ইসলাম'কে।
কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৫ জনকে ২৩ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।অভিযান পরিচালনা করার সময় উপস্থিত ছিলেন রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবিরুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ,সহকারী পুলিশ সুপার রৌমারী ও রাজীবপুর সার্কেল মাহফুজ আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাঃসারওয়ার জাহান,রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)নবিউল হাসান, পরিসংখ্যানবীদ রোকুনুজ্জামান প্রমুখ।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ,জানান সংক্রামক রোগ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী আজকে ১৫ জনকে অর্থদন্ড করা হয়েছে। জনগণের সুরক্ষার জন্য লকডাউন দেওয়া হয়েছে তিনি জরুরি প্রয়োজন ব্যাতিত ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য উপজেলার সকল জনসাধারণেরকে অনুরোধ করেন।