1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মানিকগঞ্জের প্রেমিকের ছলোনায় সর্বস্ব হারিয়ে থানায় মামলা 

বাবুল আহমেদ, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি  প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২১, ০৭:৪৫ পিএম মানিকগঞ্জের প্রেমিকের ছলোনায় সর্বস্ব হারিয়ে থানায় মামলা 
ফাইল ছবি

মানিকগঞ্জঃ জেলার ঘিওরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির (১৫) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত মোঃ হৃদয় (২৫) উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের শোলধারা গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে।

এদিকে ঘটনার পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মাতব্বররা গ্রাম্য শালীসের মাধ্যমে সমাধান করতে চায়। প্রতারক প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অবশেষে ভূক্তভূগী ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ঘিওর থানা পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত হৃদয় বালিয়াখোড়া তার নানা মোঃ ছালাম মিয়ার বাড়ী বসবাস করে পড়াশোনা করতো। এরই সূত্র ধরে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুযোগে এক বছর যাবত ওই স্কুলছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।

গত ২৫ জুন সকালে মোবাইলে কল দিয়ে বালিয়াখোড়া গ্রামের জনৈক নিজাম মিয়ার বাড়িতে দেখা করার জন্য নিয়ে যায়। তখন বিয়ের প্রলোভনে ফাঁকা ওই বাড়িতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। একই ভাবে ওই কিশোরী ছাত্রীর কয়েক দফায় বিভিন্ন জায়গায় শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আঁচ করতে পারে। পওে গত শনিবার স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় পাটক্ষেত থেকে ধরে ফেলে। এক পর্যায়ে হৃদয়ের মামা নূরুজ্জামান সোহাগ তাদের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হৃদয়কে নিয়ে চলে যায়। পরে ঐদিনই ছেলের মামা ছেলেকে পালাতে সাহায্য করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ২৭ জুন সোমবার দুপুরে ঘিওর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্কুলছাত্রীর মা।

নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর মা জানান, আমার এত বড় সর্বনাশ করলো। থানায় মামলা দিলাম। কিন্তু আসামী গ্রেফতার হইলো না। আমরা গরীব মানুষ বইলা কি কোন বিচার পামু না।

স্থানীয় বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আঃ আওয়াল খান বলেন, এব্যাপারে অভিযোগকারী কিংবা বিবাদী কোন পক্ষই আমার কাছে আসেনি। লোকমুখে ঘটনা শুনেছি।

ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলা গ্রহণ করেছি। মেডিকেল পরিক্ষা ও জবানবন্দী সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আসামীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনা ছিল ওই ছাত্রীর। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে। আশা করছি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত আসামী গ্রেফতার করতে পারবো।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner