অভিযুক্ত সিরাজ হায়দার বেলাল (৫৭) উপজেলার ৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামের লেদু কোম্পানী বাড়ীর মৌলভি আবুল বাশারের ছেলে এবং স্থানীয় রিডো নামে একটি এনজিও কর্মকর্তা।
ভূক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত (৯জুন) সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে ৬নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে ইউপি নির্বাচন ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে কামাল উদ্দিন (৩৮) নামের এক ওমান প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার চরজব্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এনজিও কর্মকর্তা বেলাল ওই মামলা থেকে তার তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় চট্রগ্রামের একটি থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল কবির হোসেনের নাম বাদ দিতে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মুন্সির নাম ভাঙ্গিয়ে ২৭ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। পুনরায় নাম বাদ দেওয়ার কারণ দেখিয়ে ওই পুলিশ সদস্যের পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে বেলাল।
এক পর্যায়ে এ বিষয়ে সুবর্ণচর থানার ওসি মো.জিয়াউল হকের সাথে তারা সরাসরি যোগাযোগ করে।
তাৎক্ষণিক ওসি জানান, ওই হত্যা মামলায় কবির হোসেন নামে কাউকে আসামী করে নাই বিবাদী। বেলাল পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ২৭ হাজার টাকা ভাগিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজ হায়দার বেলাল বলেন, তাদের কাজ হয়ে গেছে। এখন তারা অস্বীকার করছে। এটা আমাদের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। তবে তাদের ২৭ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, এ বিষয়ে তিনি মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।