নারায়নগঞ্জঃ নিয়মিত বিরতি দিয়ে একের পর এক রূপগঞ্জে পড়ছে লাশ। একেক সময় একেক জায়গায় সুযোগ বুঝে লাশ ফেলে যাচ্ছে অপরাধীরা। তবে নিরিবিলি নিরাপদ নির্জন স্থানেই বেশি লাশ পড়ছে। কয়েক বছর আছে পূর্বাচলে প্রাশয়ঃই লাশ পড়ত। এখন আবার কয়েক বছর ধরে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কায়েতপাড়া এলাকার নির্জন স্থানে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। কেউ বলে লাশে স্তুপ। কেউ বলে লাশের ভাগাড়।
কেউ বলে লাশের পাহাড়। তবে যে যাই বলুক না কেন কায়েতপাড়া এখন অপরাধীদের নিরাপদ আখড়ায় পরিনত হয়েছে। জিয়সতলায় নিয়মিত মাদকের আসর বসে। লাশ ফেলার নিরাপদ জোনে পরিণত হয়েছে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত কায়েতপাড়া গ্রাম। গত ৪ বছরে এ গ্রামের আশপাশ থেকে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে ক্রমেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। গ্রামটিতে অপরিচিত লোকজনের আনাগোনাও রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামটি নিরিবিলি ও দুর্গম। ফলে এ এলাকার আশপাশে ও জিয়সতলায় মাদকসেবী ও অপরাধীদের আসড় বসে। গত ৪ বছরে এ গ্রামের আশপাশ থেকে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন নারী ও একজন পুরুষ। বিগত ২০১৮ সালে কায়েতপাড়ার টেকের ডোবা থেকে ক্ষতবিক্ষত অজ্ঞাতনামা পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত ২০১৯ সালে ঠাকুরের পুকুর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে জিয়সতলা থেকে আগুনে পোড়া অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ১৬ জুন কায়েতপাড়ার বিল থেকে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কায়েতপাড়া গ্রামে প্রতিদিন অচেনা লোকজনের আনাগোনা দেখা যায়।
এলাকায় বালু ভরাটের কাজ আসার পর থেকেই এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। এছাড়া জিয়সতলা ও এর আশপাশে প্রতিদিন জুয়া ও নেশার আসর বসে। এলাকাবাসী বলেন, নিয়মিত রাতে পুলিশ এসে ঘুরে গেলে অপরাধ থাকবে না। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল ফয়সাল মোহাম্মদ সায়েদ বলেন, খুব দ্রুতই কায়েতপাড়া এলাকায় নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করা হবে।তখন অপরাধীরা এসব অপকর্ম করার সুযোগ আর পাবে না।