শাহী মসজিদের নবগঠিত কমিটিকে অবৈধ দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল
রফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২১, ১১:১৩ এএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
নারায়ণগঞ্জঃ বন্দরে ঐতিহ্যবাহী শাহী মসজিদের নব গঠিত পঞ্চায়েত ও বিচার কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার বাদ মাগরিব বিক্ষোভ মিছিলটি শাহী মসজিদ হতে নারায়ণগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বন্দর জোনাল অফিসের সামনে এসে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন শাহী মসজিদের স্থানীয় সমাজ সেবক ও ২১নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন।
বিক্ষোভে বক্তরা বলেন, ঐতিহ্যবাহী শাহী জামে মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল জাহের। বিগত সময়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত হন। এরপর থেকেই মসজিদ কমিটিতে নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ। মসজিদ কমিটির সাধারন সদস্যদের ঘুমে রেখে কমিটিতে একচ্ছত্র আধিপত্ত বিস্তার করেন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু। গত শুক্রবার সকাল ১০টায় মসজিদের কমিটির সাধারন সদস্যদের না জানিয়ে হটাৎ করে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ রশিদকে ডেকে এনে অগনতান্ত্রিক কায়দায় একটি পকেট কমিটি তৈরী করে ঘোষনা করা হয়। আমরা এমন অবৈধ কমিটি মানিনা।
শাহীমসজিদ এলাকার বাসিন্দা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর শাখার সভাপতি নুর হোসেন বলেন, শাহী জামে মসজিদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মসজিদ। অথচ এই মসজিদের কমিটি নিয়ে গুটি কয়েক জন লোক কুক্ষিগত করে রেখেছে। বহিরাগত লোক ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই মসজিদে সিনিয়র সভাপতি পদ পায়। আমি এই এলাকার জন্মগত বাসিন্দা। এই মসজিদ কমিটিতে আমি বিগত সময়ে ছিলাম। অথচ কমিটিতে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু স্বার্থাম্বেসী লোক আমাকে শুধু কমিটি থেকে নয় সাধারন সদস্য পদও বাতিল করে দিয়েছে। আমি দোষ একটাই আমি ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি। হালালকে হালাল বলি আর হারামকে হারাম বলি। আমি থাকলে তাদের সদস্যা হয়। মসজিদের মত পবিত্র জায়গায় তারা সাধারন সদস্যদের কাছে অর্থের বিনিময়ে সদস্য পদ নেয়। দীর্ঘ ১বছর পর তারা সাধারন সদস্যদের সাথে আলাপ না করেই মনগড়া কমিটি করেছে। আমরা এই অবৈধ কমিটির তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।
এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন আল মামুন,মোজাম্মেল,খোকন মিয়া,লিটন মিয়া,মাহামুদুল হাসান স্বপন, আহসান মিয়া, সালাউদ্দিন, ঈমাম হোসেন, আবুল হক, আনোয়ার বাবুর্চি, আব্দুস সোবগান, কালু, সিরাজুল ইসলাম, রাসেলসহ পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সদস্য ও মুসল্লীবৃন্দ।