ঠাকুরগাঁওঃ করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজার রহমান সরকার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় (১৮ জুন ) শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৪ জন।
এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ(পিসিআর টেস্ট) দিনাজপুর ;সিডিসি (জিন এক্সপার্ট টেস্ট) ; সদর হাসপাতাল এবং উপজেলা হাসপাতাল সমূহ (এন্টিজেন টেস্ট),অনুয়ায়ী ঠাকুরগাঁও হতে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় আজ নতুন করে করোনা সনাক্ত হয়েছে ৬৪ জন ( সদর উপজেলা-৩২ জন; বালিয়াডাঙ্গী-১৬ জন; রানীশংকৈল-৭ জন; পীরগঞ্জ-৬ জন এবং হরিপুর-৩ জন) করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে মোট ১৫০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, পূর্র্বের রিপোর্টসহ ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২২৬৬ জন, যাদের মধ্যে ১৬৩২ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং মৃত্যু ৫১ জন। করোনাথেকে বাঁচার জন্য তিনি সরকারি নির্দেশাবলী ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহব্বান জানান।
এদিকে, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিরোধ কমিটির পরামর্শে ১৭-২৩ জুন পর্যন্ত কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (১৬ জুন) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সভায় করোনা প্রতিরোধে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে সকল গরুর হাট-বাজার বন্ধ থাকবে, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে, বিনোদন কেন্দ্র এবং সকল প্রকার গণপরিবহনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে, কমিউনিটি সেন্টার-কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে, কোথাও কোনো গণজমায়েত বা জটলা করা যাবে না, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। সীমান্ত এলাকায় মানুষের চলাচল বিজিবি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। এই সময়কালে বিধি নিষেধ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে ঠাকুরগাঁওবাসীকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।