1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

খাগড়াছড়িতে উন্নয়ন কাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

আশরাফুল ইসলাম বেলাল, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২১, ১১:৫৮ এএম খাগড়াছড়িতে উন্নয়ন কাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
ছবি : আগামী নিউজ

খাগড়াছড়িঃ দেশে চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিতার অংশ হিসেবে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মহালছড়ির সাথে সিন্দুকছড়ির এক নান্দনিক সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে সরকার। লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যেই সড়ক নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে কিন্তু তাকে সাধুবাদ না জানিয়ে বরাবরের মত হিংস্র ও নিম্ন মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে উপজাতী একটি মহল।

সাম্প্রতি, পংখীমুরা এলাকার সনেরঞ্জন ত্রিপুরা দাবী করেন যে রাতের আধারে কে বা কারা তার একটি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। তিনি এই ব্যাপারে প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্ত করার দাবী জানান এবং এই ঘটনার বিচার দাবী করেন। এবং ব্যাপারে বিচার পাওয়ার জন্য গুইমারা ও খাগড়াছড়িতে তারা মানববন্ধন করেছেন।

স্থানীয়দের দাবী সিন্দুকছড়ি-মহালছড়ি সড়কের উভয় পাশের খাস জায়গা গুলো দখলের জন্য ইউপিডিএফ (প্রসিত) গ্রুপের ইন্দনে উপজাতীয়দের দিয়ে ছোট ছোট ঘর নির্মাণ করানো হচ্ছে। এবং সড়কের কাজে নিয়োজিত গাড়ি ও মালামাল রাখার জায়গা দখলের জন্য ঐ ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।

উপজাতী কিছু সুবিধাবাদীরা গুজব ছড়াচ্ছে যে, মহালছড়ি হতে সিন্দুকছড়ির নবনির্মিত রাস্তার পার্শবর্তী স্থানে বাঙালি পুনর্বাসন, এবং কয়েকটি স্থানে পর্যটন স্পট তৈরির পরিকল্পনা করছে। তবে পর্যটন ¯পট হবে এরকম কোনো তথ্য সরকার কিংবা প্রশাসনের পক্ষ হতে পাওয়া যায়নি।

যদি এ সড়কে পর্যটন গড়ে তোলা হয় এক্ষেত্রে এ অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ গড়বে, এবং পাহাড়ি-বাঙালি সকলেই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।

আসল সত্য হচ্ছে এই রাস্তার পার্শবর্তী স্থানে অসংখ্য বাঙালি বহুকাল থেকে বসবাস করে আসছে। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে প্রশাসনের নিয়মিত টহল সেখানে সম্ভব ছিলনা। ফলে স্থানীয় বাঙালিদের নিকট হতে জোরপূর্বক নিয়মিত চাঁদাবাজি করতো উপজাতি সন্ত্রাসীরা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে উপজাতি সন্ত্রাসীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ, এবং চাঁদাবাজির অনেকটা ভাটা পরবে। এ সড়কের ফলে রাঙামাটি হতে রামগড় ফেনী হয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা হবে। তাই এই উন্নয়নের ব্যাপারে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা ষড়যন্ত্র করছে।

পংখীমুরা স্থানীয় মেম্বার সবেঞ্জয় ত্রিপুরা সাথে জায়গা দখল ও দোকান ঘর নির্মাণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, সনেরঞ্জন ত্রিপুরা ঐ জায়গা বন্দোবস্তি নেওয়ার জন্য ২০০২ সালে হেডম্যান এবং এসিল্যান্ড বরাবর আবেদক করেছে এবং তার কাছে সেই আবেদন পত্র ও তদন্তের প্রতিবেদন রয়েছে কিন্তু সে সময় বন্দোবস্তি নন্ধ থাকায় সে জমি বন্দোবস্তি পায়নি। তাই বর্তমানে ঐ জমি খাস কারো রেকর্ড ভুক্ত নয়। তিনি আর জানান, ঐ স্থানে একটি ঘর ছিলো যা সাম্প্রতি রাতের আধারে কে বা কারা সম্পূর্ন ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। এই ব্যাপারে প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেন।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner