সিরাজগঞ্জঃ উল্লাপাড়ায় ফুলজোড় নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আবারো শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। গত দুই সপ্তাহে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতবাড়ী গ্রামের পাশের ফসলী মাঠের অন্ততঃ ২০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
একই সঙ্গে উপজেলার বড়হর ইউনিয়নে তিয়রহাটি গ্রামে গত তিন সপ্তাহে ৫টি বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে গ্রামের প্রায় ৩০ বিঘা ফসলী জমি।
পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উভয়স্থানে ভাঙ্গনের মাত্রাও বাড়ছে। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দারা চরম উদ্বিঘœতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
গেল বছর পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতবাড়ী ও পুর্ব সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাটের পাশে নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন সৃষ্টি হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ব্যক্তিগত ভাবে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা নেন।
এতে ভাঙ্গন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আসে।
কিন্তু এবছর জিও ব্যাগ ফেলার স্থানের উজানে আবারো ফুলজোড় নতুন করে ভাঙ্গতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই ভাঙ্গছে ফসলী জমি।
তিয়রহাটি গ্রামের নদী ভাঙ্গনের শিকার ছামান আলী, রাসেল হোসেন, কামরুল হাসান সুর্য ও কাইয়ুম হোসেন জানান, এবছর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ফুলজোড় নদীতে পানি বৃদ্ধি শুরু হলেই তাদের গ্রামের ৫টি বসত বাড়ি নদী গর্ভে চলে যায়।
একই সঙ্গে গ্রামের পাশের প্রায় ৩০ বিঘা ফসলী জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে।
নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে না পারলে এবছর পুরো বন্যা মৌসুমের আগেই অনেক বড় রকমের ক্ষতির আশংকা করছেন তারা।
উল্লাপাড়ার বেতবাড়ি গ্রামের, শফিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম ও ফুলবক্স প্রামানিক জানান, গেল বছর তাদের গ্রামের পাশে ফুলজোড় নদীতে ব্যাপাক ভাঙ্গন শুরু হলে অনেকগুলো বাড়ি ও ফসলী জমি নদীতে ভেঙ্গে যায়।
এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জ অফিস থেকে ভাঙ্গন রোধে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হয়। কিন্তু এবছর জিও ব্যাগ ফেলার স্থানের পর থেকে উজানে আবার নতুন করে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
এরই মধ্যে ভেঙ্গে গেছে প্রায় ২০ বিঘা জমি। অবিলম্বে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার জন্য তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবহিত হয়েছেন। দ্রুত উভয় ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শন করে ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।