যশোরঃ মহামারি করোনার কারণে ভারতের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো ১৬ দিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সব স্থল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে যাদের দূতাবাস বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ছাড়পত্র থাকবে তারা যাতায়াত করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে গত ২৬ এপ্রিল ভারতের সঙ্গে ১৪ দিনের জন্য সব ধরনের স্থলসীমান্ত বন্ধ করে বাংলাদেশ। পরে ৫ দফায় বাড়ানো হয় এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।
আপাতত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামুখী স্থলবন্দর বন্ধ রেখে, বাকি পাঁচটি বন্দর দিয়ে আটকাপড়া বাংলাদেশিরা শর্ত মেনে দেশে ফিরতে পারবেন এবং সেই সাথে সীমান্ত বন্ধ থাকলেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আহসান হাবিব জানান, এখন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার পত্র হাতে পাইনি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানতে পেরেছি। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রথম থেকে এপথে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা দুই দেশে আটকা পড়েছিল তারা দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে ফিরছেন। এছাড়া তিনি আরো জানান, যাদের কাছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পত্র থাকছে এমন কিছু যাত্রী ভারত ভ্রমণ করছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আবু তাহের জানান, রোববার ও সোমবার দু‘দিনে ভারত থেকে ফিরেছেন ৭৪ জন যাত্রী। তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য বেনাপোল ও যশোরের আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ঝুঁকিমুক্ত হলে তারা বাড়ি ফিরবেন।
তিনি আরো জানান, সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ জন। সম্প্রতি আক্রান্ত বাড়ছে। জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন (দুপুর ২টা ) পর্যন্ত ভারত থেকে ৫ হাজার ১৭৩ জন পাসপোর্টধারি যাত্রী বাংলাদেশে ফিরেছেন। কোভিড পজিটিভ সনদ নিয়ে ভারত থেকে ফিরেছেন ১৩ জন। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ৬ জনের শরীরে মিলেছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। ভারতে কখনো যায়নি যশোরে এমন মানুষের শরীরেও মিলেছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট।