ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ রেলস্টেশনে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রাবিরতি দাবি করে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। অন্যথায় রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
শনিবার (৫ জুন) দুপুরে সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের মোদিবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে স্টেশনে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
যাত্রাবিরতি বন্ধ হওয়ার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ট্রেন থামানোর দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এ পর্যন্ত ট্রেনের যাত্রাবিরতি চালু না হওয়ায় এটি এখন গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, হেফাজতে ইসলামের জেলা সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহ হেফাজতের তান্ডবের ইন্ধনদাতা। তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জাতীয় সম্পদ সংস্কারের দাবি জানানো হয়। একইসাথে আপিল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সুপারের ভূমিকাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া তান্ডবের সকল বিষয় তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে ও বাচিক শিল্পী মনির হোসেনের সঞ্চালনায় রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা শাহজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অসীম কুমার বর্দ্ধন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি আবু হোরায়রাহ, জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।