ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ জেলার কসবায় এক শিক্ষার্থীকে অফিসে ধরে এনে বেদম প্রহার ও বাড়িতে হামলা করে লুটপাটের ঘটনায় হেলাল সরকার (৪৫) নামের এক পৌর কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত হেলাল সরকার কসবা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেনের ভগ্নিপতি।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা।
মামলার বাদি বজলুর রহমান ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বুধবার (২জুন) বিকেলে স্থানীয় মরাপুকুরপাড় এলাকায় একটি মাঠে রাজমিস্ত্রী বজলুর রহমানের ছেলে ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম ফুটবল খেলতে যায়। সেখানে খেলা নিয়ে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কমিশনার হেলাল সরকারের ছেলে পিয়াসের বাকবিতন্ডা হয়। এরই জেরে দ্বীন ইসলামকে ধরে এনে কাউন্সিলর হেলাল সরকার মারধর করে। পরে রাজমিস্ত্রীর বজলুর রহমানের বাড়িতে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ৩০/৩৫জন হামলা করে। এসময় ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও নগদ টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। লুটপাটের পর বজলুর রহমান, তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে মারধর করে কাউন্সিলর অফিসে আবারও ধরে নিয়ে যায়। সেখানে টেবিলের উপর ফেলে বজলুর রহমানের ছেলে দ্বীন ইসলামকে পুনরায় ব্যাপক প্রহার করে। এই ঘটনায় বুধবার রাতে বজলুর রহমান কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন।
বজলুর রহমান বলেন, খেলার মাঠে বাকবিতণ্ডার হওয়ায় খবর পেয়ে আমার বড় ছেলে ছোট ছেলেকে শাসন করেছে। তারপরও আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে মারধর ও বাড়িতে হামলা করে লুটপাট করেছে।
তিনি আরও বলেন, কাউন্সিল হেলাল সরকার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেনের ভগ্নিপতি। তারা এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু বিচার পায়নি। আমি বিষয়টি মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয়কে জানিয়েছি। আমি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে সুবিচার দাবি করছি।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান চালায়। পরে সন্ধ্যায় কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে'।