নরসিংদীঃ বিক্রি কমে যাওয়ায় সবজি ভান্ডার খ্যাত নরসিংদী জেলার কৃষকেরা পড়েছে বিপাকে। অব্যাহত লকডাউনে সবজির চাহিদা বাজারে কমে গেছে। ফলে খুব কম দামেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে নরসিংদীর উৎপাদিত সবজি।
নরসিংদী জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ হতো। লকডাউনের কারনে এবং যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ায় নরসিংদী থেকে সবজি এখন বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন বেচা-কেনা হচ্ছে অনেক কম দামে।
সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। বাজার দর কম হওয়ার পরও তারা আরও কম দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য করছে স্থানীয় কৃষকদেরকে।
নরসিংদীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ঢেড়স প্রতি কেজি ১০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ২০/২৫ টাকা, করলা ২৫/২৬, প্রতিটি লাউ ২০/২৫, বেগুন প্রতি কেজি ২০/২২, প্রতি কেজি ঝিংগা ২০ টাকা, সিসিংগা ২০/২২ টাকা, বরবটি ২৫/২৬ টাকা, কাকরোল ২০/২২ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪৫/৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিটি সাইজ বুঝে ৩০/৪০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিটি ৮/১০ টাকা, কচু সাইজ বুঝে ২৫/৩০ টাকা, ডাটা প্রতি কুড়ি ৮/১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শিবপুর উপজেলার কোন্দারপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক কৃষক জানান, লকডাউনের মধ্যে এখানকার উৎপাদিত সবজি রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতে না পারায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাজারে কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিদিন নরসিংদী জেলার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে শত শত ট্রাকযোগে সবজি সরবরাহ হতো। কিন্তুু লকডাউনের কারনে এখন ক্রেতা সাধারনরা সবজি নিতে আসছে না। ফলে পাইকারী সবজি বাজার এখন ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়েই কৃষকরা কম দামে স্থানীয় বাজারে সবজি বিক্রি করছে।
মিলন মিয়া নামে অপর এক কৃষক জানায়, সরকার কর্তৃক কৃষকদেরকে প্রনোদনা না দিলে আগামীতে কেউ সবজি আবাদ করতে পারবে না। এবছর যারা সবজি আবাদ করেছে প্রত্যেক কৃষকই লোকসান গুনতে হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে হায় হাপিত্যেশ বিরাজ করছে।
স্থানীয় কৃষকদের দাবি সরকার যেন লকডাউন বিবেচনায় কৃষকদেরকে প্রনোদনা প্রদান করেন। সবজি ভান্ডার খ্যাত নরসিংদীর কৃষকদের প্রান চাঞ্চল্য পেতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে পারেন। অন্যথায় সবজি আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে কৃষকরা এমনটিই আশংকা করছেন অভিজ্ঞ মহল।