কর্মস্থলে না থেকেও সরকারি বেতন তোলেন তিনি !
সুমন ইসলাম, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২, ২০২১, ০৩:৫৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরঃ জেলার ভাঙ্গায় এক সরকারী কর্মচারী অফিস ম্যানেজ করে, দীর্ঘদিন অন-উপস্তিত থেকে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে পরিবার কল্যান সহকারী (এফডব্লিউএ)পদে রয়েছেন। নাম চামেলী শিকদার তার কর্মস্থল কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পল্লিবেড়া এলাকায়।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, চামেলী কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পল্লিবেড়া এলাকায় তার কর্মস্থল। সে অফিসের কতিপয় এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই তিনি প্রতিমাসে বেতন উওোলন করছেন। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অফিসিয়াল ছুটি ছাড়াই রয়েছেন অনুপস্থিত। তিনি কর্মস্থলে না থেকে বহাল তবিয়তে সকল সরকারী সুবিধা ভোগ করছেন। চামেলীর বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ঠিকই তিনি ঔষধ সামগ্রী সময়মত উত্তোলন করেন এবং তার মাসিক রির্পোটও ম্যনেজ করে নেন।
এ বিষয়ে পল্লিবেড়া গ্রামের কবির হোসেন লিখিত অভিযোগে বলেন, চামেলী শিকদারের সন্তানরা ইন্ডিয়ায় অবস্থান করে পড়া লেখা করেন । তিনি ও তার স্বামী বছরের বেশীর ভাগ সময়ই সেখানে কাটান। সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে ভারতে চলে যান। পরে প্রয়োজন অনুসারে উক্ত সাদা কাগজ পুরণ করে ছুটি দেখিয়ে অফিসে জমা দেন।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের একাধিক স্টাফরা জানান চামেলী দীর্ঘদিন যাবৎ অনাদি স্যারকে ম্যানেজ করে অনুপস্থিত থেকেছেন। সম্প্রতি তিনি গত ১২ই এপ্রিল করোনা বিষয়ক মিটিংএ অনুপস্থিত, ১৬ই এপ্রিল কাউলিবেড়া এফডব্লিউসির পাক্ষিক মিটিংএ অনুপস্থিত ছিলেন, চামেলীর বরাদ্দকৃত কন্টাসেপ্টি(মালামাল)তার অনুপস্থিতিতে অফিসের এফপিআই সঞ্জয় কুমার ঘোসালকে দিয়ে উত্তোলন করান এবং এপ্রিল মাসের মাসিক রির্পোটও তাকে দিয়ে করিয়ে বেতন করান। এভাবেই ১০ বছর ধরে চামেলী অফিসকে ম্যানেজ করে মাঝে মাঝে ছুটি ছাড়াই ছেলে মেয়ের কাছে ইন্ডিয়ায় অবস্থান করে সরকারী সকল সুবিধা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন বলেন, এমন একটি অভিযোগ পেয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার রবীন বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি, আমি এসে চামেলিকে কর্মস্থলে পাইনি। তবে ইউএনও স্যারের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে তার নির্দেশে চামেলী শিকদারের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে চামেলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কর্মস্থল ও তার বাড়ীতে পাওয়া যায়নি।