1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

জীবিত প্রতিবন্ধী আদিবাসী নারীকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ !

আমানুল্লাহ আমান, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২১, ০৬:৩১ পিএম জীবিত প্রতিবন্ধী আদিবাসী নারীকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ !
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীঃ জেলার তানোরে জীবিত বাক প্রতিবন্ধী এক আদিবাসী নারীকে মৃত দেখিয়ে সরকারী ভাতা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়ী করেছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। তবে বিষয়টি নির্বাচন অফিসের দিকে গড়িয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।

বাক প্রতিবন্ধী আদিবাসী ওই নারীর নাম মার্শিলা সরেন (৩২)। তিনি উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের যোগীশো আদিবাসীপাড়া এলাকার সুপল সরেনের মেয়ে। তার বাবা ও মা ফুলমনি মূর্মূ দুজনেই মারা গেছেন। এরপর থেকে তিনি বড় ভাই জুয়েল সরেনের সাথে রয়েছেন। তার ভাই জুয়েল সরেনও অভাবী। মার্শিলার জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ ১২ অক্টোবর ১৯৮৮ সাল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাক প্রতিবন্ধী মার্শিলা ২০১৯ সাল এবং ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসপ্রতি ২২৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা পান। সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহনের বই ৯২৩। ব্যাংক হিসাব নম্বর ২৫৭। কিন্ত হঠাৎ করেই অক্টোবর মাস থেকে তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে তাকে দেখানো হয় মৃত। এরপর মার্শিলার বড়ভাই জুয়েল একাধিকবার উপজেলা সমাজসেবা অফিসে দেখা করেও কোনো সমাধান পাননি।

এ বিষয়ে জুয়েল সরেন জানান, তার ছোট বোনের প্রতিবন্ধী ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন অফিসের কর্মকর্তারা। তার বোন নাকি মারা গেছেন। অথচ তার বোন এখনো জীবিত। সমাজসেবার কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটার তালিকায় শার্মিলার নাম নেই। সেজন্য তার ভাতা বন্ধ হয়েছে। শার্মিলা জীবিত রয়েছেন এ মর্মে পাঁচন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাকে একটি প্রত্যায়নপত্রও দিয়েছেন। জুয়েল বলেন, আমরা গরীব মানুষ। অভাবের সংসার আমাদের। কাজ না করলে পেটের ভাত জোটে না। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকে মার্শিলাকে আমি দেখাশোনা করে আসছি। কিন্ত আমার বোন জীবিত থেকেও মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ করে দেয়ায় আমরা চরম দুশ্চিন্তায়।

এ ব্যাপারে পাঁচন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার যোগীশো গ্রামের মার্শিলা সরেন জীবিত রয়েছেন। তার ভাই জুয়েল সরেনকে প্রত্যায়নপত্রও দিয়েছি। আমার পরিষদ থেকে মার্শিরা সরেনকে মৃত ঘোষণা করিনি। তাহলে উপজেলা সমাজসেবা অফিস কীভাবে তাকে মৃত উল্লেখ করছে। এরজন্য সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তারাই দায়ী।’

জানতে চাইলে তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন খান বলেন, ‘ভোটার তালিকায় মার্শিলা সরেনের নাম নেই। তাই তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। আর সেজন্যই বন্ধ করা হয়েছে তার প্রতিবন্ধী ভাতা। বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইনের মাধ্যমে সব দেখে ভাতা প্রদান করা হয়। নির্বাচন অফিসকে বলুন বিষয়টি ঠিক করতে।’

তানোর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুমমিতা রায় বলেন, ‘কোনোভাবে মার্শিলার নামটা তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেছে। এখন আবেদন করতে হবে। তা না করলে চুপ করে বাড়িতে বসে থাকতে হবে।’ তানোর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখবো।’

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner