1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

কক্সবাজার উপকূল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত

জাফর আলম,কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধ প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২১, ০৩:৪৪ পিএম কক্সবাজার উপকূল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত
ছবি: আগামী নিউজ

কক্সবাজারঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কক্সবাজারের উপকূলের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।পূর্ণিমা তিথির জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলে আছড়ে পড়েছে। সমুদ্রিক জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিতে ভাঙ্গন ধরেছে। সেন্টমার্টিনের পুর্ব ও পশ্চিম দিকে কিছু এলাকা, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ উপজেলার বেশকিছু এলাকা ভাঙ্গা বেড়িবাদ দিয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান,বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জোয়ারের পানির তোড়ে দ্বীপের একমাত্র জেটির আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।টেকনাফের সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। দ্বীপে আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় স্থানীয়রা নিজ নিজ বাড়িতে এবং হোটেল/রিসোর্টে অবস্থান করছে। 

মহেশখালীর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শরীফ বাদশা জানান, ধলঘাট, মাতারবাড়ীর বেড়ি বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। 

কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল জানান, চৌফলদন্ডী, ইসলামপুর, পোকখালী ইউনিয়নের বেশকিছু পয়েন্টে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মৎস্য ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। 

টেকনাফ-উখিয়ার সীমান্ত এলাকা বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ কোং  জানান, টেকনাফ অংশের মেরিন ড্রাইভেও জোয়ারের পানি আছড়ে পড়ছে।পুরো অংশের খাল দিয়ে জোয়ারের পানি সড়কের ভেতরের অংশে ঢুকে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে বেশ কিছু বাড়িও। 

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলার নিন্মাঞ্চল থেকে কমপক্ষে ১০ লাখ লোক নিরাপদে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ে ঝুকিপুর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে আসতে মাইকিং করা হয়েছে।     

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষনিক কন্ট্রোল রুম চালু রয়েছে। উদ্ধার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন ও নৌযান প্রস্তুত রয়েছে।ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচির (সিপিপিপি) ৬ হাজার সহ ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৫৭৬ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, হাজারো শিক্ষা প্রতিষ্টান ও ২৫ টি মুজিব কিল্লায় মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ৮ উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner