নারায়ণগঞ্জঃ করোনা ভাইরাসের টিকা শেষ করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক কোভিশিল্ড টিকা (ভ্যাকসিন) শেষ হয়ে যাওয়ায় গত এক সপ্তাহ যাবৎ কয়েকটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৪৮ জন প্রথম ডোজ গ্রহণ করলেও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮৭ হাজার ১৪০ জন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত কবেম ঙ্গলবার (২৫ মে) বলেন, কবে নাগাদ টিকা আসবে সে বিষয়ে নিশ্চিত নয়৷ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, সারাদেশেই টিকার সংকট। নতুন করে টিকা আসলে জেলা পর্যায়ে সরবরাহ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগেই নারায়ণগঞ্জে ১ লাখ ৫৬ হাজার টিকা এসে পৌঁছায়। নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ প্রথমে টিকা গ্রহণ করে নারায়ণগঞ্জে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়৷
এরপর আরও এক দফায় নারায়ণগঞ্জে টিকা আসে। নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালসহ চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলে। তবে ঈদের তিনদিন পর থেকে কেন্দ্রগুলোতে টিকার মজুদ শেষ হয়ে আসতে থাকে। সর্বশেষ মঙ্গলবার বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা প্রদান করা হয়েছে। তবে। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলা করোনা ফোকাল পারসন ডা. জাহিদুল ইসলাম সংবাদকে জানান, এই জেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৪৮ জন করোনার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮৭ হাজার ১৪০ জন। তবে টিকার সরবরাহ না থাকায় জেলার কয়েকটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২৪ মে) আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকার মজুদ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার বন্দর উপজেলাতেও শেষ হয়েছে। সিটি এলাকা ও সদর উপজেলা কেন্দ্রে আরও আগেই টিকার মজুদ শেষ হয়ে গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ সংবাদকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে কয়েকটি কেন্দ্রের টিকা শেষ হয়ে গেছে।
নতুন করে টিকা না আসা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে৷