দিনাজপুরঃ আজ ২২ মে দিনাজপুর গোরা শহীদ ময়দানে (বড়মাঠ)জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অস্থায়ী মৌসুমী ফল প্রদর্শনী ও বিক্রয় বাজার উদ্বোধন। উত্তরের জেলা দিনাজপুর বরাবরই প্রসিদ্ধ সুগন্ধি ধান আর লিচুতে।স্বাদ আর রসালো লিচুর দেশে উৎপাদন কম হলেও দেশের বৃহত্তম লিচুর বাজার।
সবার মন জয় করা দিনাজপুরের লিচু মানেই অন্যরকম মিষ্টি ও রসালো স্বাদ। দিনাজপুরের লিচু গোটা দেশে যার চাহিদা ও বাজার রয়েছে।
আজ অস্থায়ী মৌসুমী ফল প্রদর্শনী বিক্রয় বাজার প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. খালেদ মোহাম্মদ জাকী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম (বার), জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমদাদ সরকার, চেম্বারের সভাপতি সুজা-উর-রব চৌধুরী প্রমুখ সহ আরও অনেকে।
করোনা মহামারির জন্য সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য লিচুর বাজার শহরের কালিতলা থেকে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে স্থানান্তর করেছে জেলা প্রশাসন।
বাগান গুলোতে আগাম জাতের লিচু পরিপক্ব হতে শুরু করেছে। লিচু চাষী অনেকেই লিচু বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছে। তবে আগামী সপ্তাহে পুরোদমে বাজারে লিচু পাওয়া যাবে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক মো জাফর ইকবাল আগামী নিউজকে বলেছিলেন এবার জেলায় ৫ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হচ্ছে। ১৩ উপজেলার মধ্যে বিরল, সদর, বীরগঞ্জে লিচু আবাদ বেশি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৮৪ মেট্রিক টন।
তিনি আগাম জাতের (যেমন–বোম্বে,মাদ্রাজী) ফলন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন অক্টোবর মাসে কোন বৃষ্টি না হওয়ার কারনে লিচুর জন্য আবহাওয়া অনুকূল নয়। তবে বাগান মালিকদের সেচ দেওয়ার পরামর্শ প্রদানের কথা তিনি জানান। তবে বেদেনা, চায়না–৩,চায়না–৬, কাঠালী লিচুর ফলন নিয়ে কোন শঙ্কা নেই বলে জানান কারন হিসেবে বলেন এখন বৃষ্টি মাঝে মাঝেই হচ্ছে।
লিচু সংরক্ষণ ও বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে তিনি বলেন, সংরক্ষণের বা বিদেশে রপ্তানির প্রক্রিয়াজাত করনের কোন ব্যবস্থা নেই। তবে করোনার কারনে সারাদেশে লিচু পৌছানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহনের পরিকল্পনা আছে।