রাজবাড়ীঃ ঈদের দিন গত ১৪ মে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা কারিগরপাড়ায় দুই পক্ষের মারমারি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পাংশা থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলা গত সোমবার রাতে পাংশা থানা পুলিশের সদস্যরা রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাই চেয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন এবং পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সোবাহানসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়। তবে বিকালে অনুষ্ঠিত হয় জামিন শুনানী। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
পাংশা থানার ওসি পাংশা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন জানান, ওই মারামারি ঘটনায় মতিয়ার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলার আসামি বহলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত লইচোর ছেলে আব্দুর রশিদ (৫৫), মৃত আছমত মন্ডলের ছেলে আহম্মদ হোসেন (৬০), মৃত আছমত মন্ডলের ছেলে মোঃ আব্দুস সোবাহান (৫২), মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে মোঃ ফরিদ বিশ্বাস (৫০), মৃত আছমত আলী মন্ডলের ছেলে আসাদুজ্জামান রতন (৩৫), মৃত মোহাম্মদ আলী সরদারের ছেলে মোঃ মতিন (৩৫), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নুরু মন্ডল (৩৫), হাচেন মন্ডলের ছেলে কাবিল মন্ডল (৩৫), মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪০), বহলাডাঙ্গা কারিগরপাড়ার মৃত সোহরাব উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মোঃ কামাল হোসেন (৩৮), বিত্তিডাঙ্গা গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন (৪৫), বড় বনগ্রামের সামছেল মোল্লার ছেলে জিয়া মোল্লা (৪০) এবং কোলানগরের মজিবর গাজীর ছেলে মিলন গাজী (২৭) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক শুধাংশু শেখর রায় তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।