বেলা গড়িয়ে ১১টায় চালু হয় ‘খেলনা ঘর’। প্ল্যাটফর্মে বসানো হরেক রকম খেলনার স্টল দেখে সবার মন যেন ছুটে যায় শৈশবে। পথশিশুরা ইচ্ছেমতো খেলনা সামগ্রী ফ্রিতে নেয় স্টলগুলো থেকে। বেড়ে ওঠার সময়টাতে নেচে, গেয়ে দিন কাটে। ঈদের দিনে বাদ থাকবে কেন তা? নোয়াখালী ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে স্থানীয় ব্যান্ড শিল্পীরা নাচ-গানে মুখর করে তোলেন চৌমুহনী রেল স্টেশন। প্রাণের স্পন্দনে উচ্ছ্বসিত হয় প্রত্যেকে। ‘অ্যাকুয়াস্টিক ইদ আড্ডা’-য় গান গায় পথশিশুরাও। নাচে গানে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম ক্ষণিকের জন্য রূপ নেয় অসাধারণ এক শিশু পার্কে।
সকাল থেকে নানান আয়োজনে মনের ক্ষিদে মিটলেও পেটের ইঁদুর দৌঁড়াতে শুরু করে বেলা গড়াবার সঙ্গে।
দুপুর ২টায় লঙ্গরখানায় শুরু হয় বিয়ে বাড়ির খাবারের আয়োজন। গরু, খাশি, মুরগি, ডিম, সবজি, ডাল, চাটনি, ভর্তা, কোক, কি নেই এই আয়োজনে? দেরি না করে একসঙ্গে খেতে বসে পথশিশু, ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষ, স্বেচ্ছাসেবী ও আগত অতিথিরা।
আয়োজনের উদ্যোক্তা ও সমন্বয়ক মুনীম ফয়সাল জানান- ‘আমরা চেয়েছি এই মানুষগুলো যেন অন্তত একদিন নিজেদের ভাসমান মনে না করে। অন্তত একদিন তাদের সবটুকু চাওয়া পূরণ করতে। সবটা হয়তো পারিনি, যতটুকু পেরেছি তার শুকরিয়া আদায় করছি।
ভাসমান এই মানুষেরা অল্পতে তুষ্ট হতে জানে। তাদের হাসিমুখকে সঙ্গী করে বিকাল ৪টায় পথশিশুদের সাথে ইদ উৎসবের মধুরেণ সমাপয়েৎ ঘোষণা করেন আয়োজকরা।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আয়োজনের সদস্য সচিব মাঈন উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক রবিউল জামান মুন্সি প্রমূখ।