নারায়নগঞ্জঃ অনেকের কেনাকাটাও প্রায় শেষ। বাকি শুধু রূপচর্চার কাজ। তাই সবাই ছুটছেন স্থানীয় পার্লার ও সেলুন ঘরে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ছনেরটেকের কৃষ্ণার সেলুনে চুল কাটাতে এসেছে ছোট্ট ছেলে মুনসিফ ইসলাম। কথা হয় তার সাথে।
তিনি বলেন, ঈদ আসছে। তাই চুলে একটু রঙ করাবো। স্টাইল করে কাটাবো। ঈদে একটু ব্যাতিক্রম আয়োজন না হলেতো চলেনা। তার মতো আরো এসেছে তামিম, নাফিস, মুরাদ, ফাহিমসহ অনেকে।
তারাও একইভাবে বলেন, ঈদে স্টাইল করে চুল কাটাতে এসেছে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসছে কাঙ্খিত আনন্দের ঈদ। ঈদের আনন্দকে আরো আনন্দময় ও রঙিন করে তুলতে কিশোর যুবাদের কতই না আয়োজন। ভাই ভাই সেলুনের পরিচালক রিপন সরকার বলেন, চুলতো সারা বছরই কাটি। তবে ঈদে চুল কাটায় অর্থের পাশাপাশি আনন্দও পাই। কত স্টাইলের চুল যে কাটতে হয় তার কোনো সীমা নাই। ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ আসলেই মানুষ নানা আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর সমাগত, কড়া নাড়ছে দরজায়। এরই মধ্যে ঈদের কেনাকাটা অনেকে সেরে ফেলেছেন অনেকেই। বাকী রয়েছে রূপচর্চার কাজ। তাই দিন ঘনিয়ে আসার সাথে ভিড় বাড়ছে রূপগঞ্জের সেলুন ও পার্লারগুলোয়। কারও চুলটা রাঙাতে হবে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে কারও চাই ফেসিয়াল। মেহেদিতে হাত রাঙানো থেকে শুরু করে চুল ও পায়ের নখ পর্যন্ত চলছে পরিচর্যা। পার্লারকর্মীদের যেন দম ফেলার ফুসরত নেই।
ঝিলমিল পার্লারে পরিচালক জিনিয়া বলেন, ঈদে তরুণ-তরুনীরা নিজেকে একটু রাঙিয়ে নিতে, ত্বকের জৌলুশ বাড়াতে পার্লারেই ভিড় জমায়। এ ঈদেও তার ব্যাতিক্রম নয়। পার্লারে আসা তরুণী ফাহমিদা বলেন, ঈদতো আনন্দের। তাই মেহেদীর রঙে রাঙ্গাতে, ভ্রুপ্ল্যাকসহ বিভিন্ন সাজের জন্য পার্লারে আসা। ঈদকে সামনে রেখে দীর্ঘ হচ্ছে সেবা গ্রহীতাদের সারি। পার্লারে উপচেপড়া ভিড় লক্ষণীয় রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের বিউটি পার্লারগুলোতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের পার্লারের কর্মীদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। ঈদ প্রায় চলেই এসেছে। শেষ মুহূর্তে নিজেকে আকর্ষণীয় করতে তরুণ-তরুণীরা ভিড় জমাচ্ছেন বাজারের নামিদামি সেলুন ও পার্লারগুলোয়। বাদ যাচ্ছেন না বয়স্করাও।
চুলকাটা, রং করা, ভ্রু প্ল্যাক, ফেসিয়াল, মেনিকিউর, পেডিকিউর আরো কত কী! বিউটি পার্লারের কর্মীরা জানান, গত কয়েক দিন থেকেই তরুণ তরুণীরা নিজেদের পরিপাটি করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। রূপগঞ্জের বিভিন্ন বিউটি পার্লার ও সেলুনের পরিচালকগণ জানান, সকাল থেকেই সকল বয়সের লোকজন বিভিন্ন ধরনের সাজগোজ করার জন্য ভীড় করছেন। সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খুব ব্যস্ততায় সময় কাটছে। চুলকাটা, রং করা, ভ্রু প্ল্যাক, ফেসিয়াল করছেন বলে জানান। তবে ঈদের আগের রাতে ব্যস্ততা আরো বেড়ে যাবে। ওই দিন সারারাত কাজ করতে হবে।