ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল(সদর) হাসপাতালে ২১৪ বেডই করোনার চিকিৎসার একমাত্র ভরসা। জেলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম, আরটিপিসিআর ল্যাব, আইসিও, হাইপ্রোন্যাজল ক্যানোলাসহ চিকিৎসা ব্যবস্থার কোন কিছুর ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে এখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের হার। প্রয়োজনীয় সাপোর্ট সিস্টেম না থাকায় সংকটাপন্ন রোগীদের পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরাঞ্জামাদির সংকট সমাধানে ও চিকিৎসার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
প্রায় ৩০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যূষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য জেলায় মাত্র ২১৪ টি করোনার বেড রয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে রয়েছে ৫০ টি। শুধু তাই নয় করোনার চিকিৎসায় আধুনিক কোন যন্ত্রপাতি নেই এখানে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম, আইসিও, আরটিপিসিআর ল্যাব, হাইপ্রোন্যাজল ক্যানোলাসহ চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। এতে করে করোনায় আক্রান্তদের হোম আইসোলেশন ও হাসপাতালে নির্ধারিত ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে আক্রান্তদের।
তবে অবস্থা গুরুতর হলে তাদেরকে ঢাকায় রেফার্ড করা হচ্ছে। গেলো ৩ সপ্তাহে জেলায় ৩ শতাধিক লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
চিকিৎসার সাথে জড়িতরা জানান, যে হারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা উদ্বেগ জনক। ধারণ ক্ষমতার বাইলে গেলে এবং প্রয়োজনীয় সাপোর্ট সিস্টেম না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
চিকিৎসকরা বলছেন, যে জনবল ও সরাঞ্জামাদি রয়েছে সেসব প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বাড়িতে রোগী এলে সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে। সেজেন্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে করোনাকে প্রতিরোধ করতে হবে। অন্যদিকে করোনা শনাক্তে পরীক্ষা করাতে আসা রোগীরা হাসপাতালে ভীড় করছে। কয়েক দিন অপেক্ষা ও লাইনে দাড়িয়েও পরীক্ষা করতে পারছেন বলে তাদের অভিযোগ। সে সাথে পরীক্ষার জন্য আগতরাও সামাজিক দুরত্ব মানছেন না।
আগামীনিউজ/নাহিদ