যশোর: শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত মাছ ভর্তি একটি ভারতীয় ট্রাক আটক করেছে কাস্টমস সদস্যরা। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি কাস্টমস।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে বেনাপোল বন্দরের টিটিবি মাঠ থেকে ট্রাকটি আটক করা হয়। অবৈধ ভাবে আমদানিকৃত মাছের আমদানিকারক যশোরের ফাইম এন্টারপ্রাইজ এবং পণ্য খালাসকারী সিএন্ডএফ এজেন্ট
বেনাপোলের সানমুন এন্টারপ্রাইজ।
কাস্টমস সূত্রে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে কোন এক সময় ভারত থেকে ডব্লিউ-বি-২৫-৪৮১৪ নাম্বারের একটি ট্রাক ২৫০ কার্টুন ৫ হাজার কেজি মাছ নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। পরে ট্রাকটি নিয়ম অনুযায়ী কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা ও সরকারের রাজস্ব পরিশোধ না করে বন্দরের টিটিবি মাঠে নিয়ে খালাস করছিল। এসময় খবর পেয়ে কাস্টমস সদস্যরা অভিযান চালালে ট্রাকের চালকসহ অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে ভারতীয় ট্রাকটি জব্দ করে কাস্টমস সদস্যরা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো: নেয়ামুল ইসলাম মাছবাহী ট্রাক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে জব্দকৃত মাছ নিলামে তোলা হয়েছে। আর যাতে কেউ এমন অপরাধ
করতে সাহস না পায় তার জন্য অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ দিকে স্থানীয়রা জানান, বর্তমান সময়ে বন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার নজরদারী এড়িয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি পণ্য পাচার অনেকটা রহস্য জনকঘটনা। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি মহল নানা অপকর্ম করলেও সাধারন
ব্যবসায়ীদের নানা ভাবে হয়রানি করা হয় এ বন্দরে।
এ কারণে অনেকে আর আমদানি করতে চান না। মাছ পাচারকারীদের তথ্য থাকলেও মুখ খুলছেন না কর্মকর্তারা। সুবিধা নিয়ে অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলেও অনেকে অভিযোগ তোলেন। বার বার শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় গত ৪ বছর ধরে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ রাজস্ব বোর্ডের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আগামীনিউজ/নাহিদ