রাজশাহী: বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে পাশের বধ্যভূমি এলাকার সেই পুকুর থেকে আরও দুইটি মর্টার শেল, একটি রকেট লঞ্চার একটি ল্যান্ড মাইন উদ্ধার করা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ এগুলো উদ্ধার করে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে এক যুবক বধ্যভূমি এলাকার পুকুরে হাত-মুখ ধুতে গিয়ে একটি মর্টার শেল পান। পরে তিনি সেটি উদ্ধার করে নিয়ে যান পাশের পুলিশ ফাঁড়িতে। এরপর পুলিশ ওই পুকুরে গিয়ে আরও একটি মর্টার শেল, একটি রকেট লঞ্চার ও একটি ল্যান্ড মাইন পায়।
বোমাগুলো মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ের বলে ধারণা করা হচ্ছে। এগুলো সক্রিয় কি না তা পরীক্ষা করতে বোমা বিশেষজ্ঞ টিমকে খবর দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে রাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘পুকুরে বা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হয়তো এসব মর্টারশেল বা রকেট লাঞ্চার আরো রয়েছে। এগুলোর দ্বারা মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এর স্থায়ী একটি সমাধানের জন্য আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। তারা লিখিতভাবে সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্ট শাখায়একটি দরখাস্ত দিতে বলেছেন। আমরা সেটি দিবো। আর উদ্ধার হওয়ার মর্টারশেল ও রকেট লাঞ্চারটি ঘেরাও করে পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে।
পূর্বের মতো বগুড়া থেকে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে এগুলো নিস্ক্রিয়করণে কাজ করবে বলে মতিহার থানা পুলিশ আমাদেরকে জানিয়েছে।’
এ ব্যাপারে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে বিষয়টি জানিয়েছি। হয়তো তারা শনিবারের মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে এগুলো নিষ্ধিসঢ়;ক্রয়করণে কাজ করবে।’
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল একই জায়গা থেকে একটি মর্টার শেল পাওয়া যায়। পরদিন সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দল সেটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করে। বিকট শব্দে সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
আগামীনিউজ/নাহিদ