1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

আজও ফিরেছে ২৫০ বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী 

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২১, ১০:০০ পিএম আজও ফিরেছে ২৫০ বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী 
ছবি: আগামী নিউজ

যশোর: ভারত-বাংলাদেশে আটকা পড়া পাসপোর্টধারী যাত্রীরা স্ব-স্ব দেশে অবস্থিত হাই কমিশন এর বিশেষ অনুমতিপত্র প্রাপ্ত হয়ে যার যার দেশে ঢুকতে পারছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। বিশেষ অনুমতি পত্র নিয়ে সোমবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভারতে আটকে পড়া ৪৩৯ বাংলাদেশি বেনাপোল স্থলপথে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরেছেন ৬৭ যাত্রী। তবে আগত বাংলাদেশিদের মধ্যে তিনজন করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছেন। 

বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৪৯ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। হাই কমিশন এর অনুমতি পত্র ছাড়াও তাদের সাথে করোনা নেগেটিভ সনদ আনতে হয়েছে। তবে যারা
এসেছেন তাদেরকে বাধ্যতামুলক নিজ খরচে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টানে বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায়ই থাকতে হবে। তবে নতুন করে পাসপোর্টযাত্রীদের ভারত ও বাংলাদেশ ভ্রমণ এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। 

এদিকে আজ যে সকল পাসপোর্টযাত্রী ফেরত এসেছেন তাদের মধ্যে মেডিকেল পরীক্ষায় তিনজন করোনা পজেটিভ ধরা পড়ছে। তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালের করোনা রেড জোনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে বিশেষ অনুমতি পত্র নিয়ে যারা ভারত থেকে দেশে ফিরে আসছেন তাদেরকে বন্দর এলাকার বেশ কয়টি আবাসিক হোটেলে রাখা হচ্ছে। যেমন পোর্ট ভিউ, রজনিগন্ধা, জুয়েল হোটেল, সিটি আবাসিক, চৌধুরী হোটেল, হোটেল এ্যারুষ্টেকেট, সান সিটিসহ আরো বেশ কয়টি। 

এমনিকি পৌর কমিউনিটি সেন্টার বিয়ে বাড়িসহ বেশ কিছু স্কুলেও রাখা হচ্ছে। বলা চলে গোটা বেনাপোল স্থল বন্দর এলাকার সম্ভ্যাব্য জায়গায় গত দুদিন ভারত ফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। স্থান সংকুলান না হওয়াতে বাস ও মাইক্রোবাস এবং এ্যাম্বুলেন্সে লাউজানি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা পাসপোর্টযাত্রীদের পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে জমা রাখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের স্ব  স্ব হাতে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হবে। আর যাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে তাদের দেখ ভাল ও নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা কর্মীও নিয়োজিত রাখা হচ্ছে। 

গত সোমবার, মঙ্গলবার এবং আজ বুধবার মিলে প্রায় ৫ শতাধিক ভারত ফেরত পাসপোর্টযাত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশে আটকে পড়া অনেক ভারতীয় পাসপোর্টযাত্রী অনুরুপ কায়দায় ভারতে ফেরত গেছেন। এদিকে চিকিৎসা শেষে হাতে খরচের টাকা না থাকায় ভারত ফেরত বাংলাদেশিরা নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অসহায় দিন পার করছেন বলে জানা গেছে। তবে সরকারি নির্দেশনা মানতে তাদের বাধ্য হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। 

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, ভারতফেরত বাংলাদেশিরা বেনাপোল বন্দর এলাকার সাতটি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সেখানে সব
খরচ যাত্রীদের বহন করতে হবে। এছাড়া ফেরত আসা তিন বাংলাদেশি করোনা পজিটিভ যাত্রীকে যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে রাখা হয়েছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনারের ছাড়পত্র থাকায় আটকে পড়া যাত্রীদের ৪৩৯ জন ভারত থেকে ফিরেছেন। ভারতীয় নাগরিক ফিরেছেন ৬৭ জন। তবে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বাংলাদেশি কোনো পাসপোর্টধারী যাত্রী নতুন করে ভারতে যায়নি এবং ভারত থেকেও ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেনি। 

শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি ফেরত আসা পাসপোর্টযাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে সার্বিক কাজের দেখ ভাল এর তত্বাবধান করছেন বলে জানা যায়। 

এদিকে, সরকারের নিষেধাজ্ঞায় এ পথে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতে বিধি-নিষেধ ঘোষণা করা হলেও দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক রয়েছে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য। তবে নির্দেশনা অনুয়ায়ী, স্বাস্থ্যবিধি পালন হচ্ছে না বন্দরে। আমদানি পণ্যের প্রবেশ দ্বারে নেই করোনা সংক্রমণ রোধ ব্যবস্থা। পণ্যবহনকারী ট্রাক চালক, শ্রমিক, নিরাপত্তাকর্মী কেউ যথাযথভাবে মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। এতে ঝুঁকি বাড়ছে সংক্রমণের। 

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, ভারতের ভেরিয়ান্ট অত্যন্ত ভয়ানক। এমনিতেই ভারত থেকে অতি জরুরি অক্সিজেন আমদানি বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কোনোভাবে একবার এ ভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পড়লে মহামারি ধারণ করবে। রক্ষা পেতে সরকারি নির্দেশনার সবার মানা দরকার।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, বন্দরে বাণিজ্যের সাথে জড়িতরা সবাই যাতে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সেটি আবারও সচেতন করা হবে। এছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। এদিকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। বন্দরের অভ্যন্তরে ভারতীয় ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা বন্দর থেকে বেনাপোল বাজারে চলে না যায় এজন্য বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। 

এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আনসার ও সিকিউরিটি ফোর্সের নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাতে করে ট্রাক ড্রাইভাররা বন্দরের বাইরে যেতে না পারে সেজন্য সবসময় তৎপর আছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান বলেন, ভারত থেকে পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশের মুখে রফতানি গেটে ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকটিকে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও স্থলবন্দর যৌথভাবে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। তারপর ট্রাক চালকের হ্যান্ড স্যানিটাইজ, মাস্ক ও পিপিই নিশ্চিত করা হচ্ছে। তারপর বাংলাদেশে প্রবেশে করতে দেওয়া হচ্ছে তাকে বলে জানান তিনি।

আগামীনিউজ/নাহিদ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner