1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মাগুরায় প্রণোদনা বন্টনে অনিয়মঃ জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি

মাগুরা প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২১, ০৫:২০ পিএম মাগুরায় প্রণোদনা বন্টনে অনিয়মঃ জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি

মাগুরাঃ মাগুরায় করোনায় কর্মহীন শিল্পী প্রণোদনার চেক বিতরণে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও শিল্পীরা। জেলার ২৬ জন সাংস্কৃতিককর্মী স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে কর্মহীন ৪৩৮ জন শিল্পী কলাকুশলীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ৪৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিতরণে অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান।

শিল্পীরা অভিযোগে জানান- সরকারিভাবে যখন করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পীদের সহায়তা দেয়ার জন্য নামের তালিকা আহবান করা হয়, তখন জেলার প্রকৃত শিল্পীদের বিষয়টি জানতে না দিয়ে জেলা কালচারাল অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, শিল্পকলার সাউন্ড অপারেটর কামরুজ্জামান, সহ-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, শিল্পকলার সংগীত শিক্ষক অজিত রায় ও অপর একটি সংগীত বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকুমার পালসহ একটি অসাধুচক্র একত্রে বিভিন্ন পরিচিত ব্যক্তির নাম ও আইডি নম্বর সংগ্রহ করে নিজ মনগড়া একটি অশিল্পীদের তালিকা চড়ান্ত করে। তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার কমিশন বাণিজ্য করেছে এ চক্রটি। (যার একটি অডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে) এভাবে ওই চক্রটি একদিকে প্রকৃত শিল্পীদের বঞ্চিত করেছেন অপর দিকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রনোদনার লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।

এছাড়া তালিকায় শিল্পকলার সহ-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী তার নিজ পরিবারেরই ১৫ জন সদস্যের নাম শিল্পী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পরিচয় থাকায় বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর সহযোগিতায় জেলা শহরে ২টি ফ্লাট ও একাধিক বাড়িসহ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিকের স্ত্রী ও শেয়ার ব্যবসায়ীরা প্রনোদনা টাকা পেয়েছে। অথচ মাগুরার বহু সাংস্কৃতিক সংগঠন ও অনেক গরীব শিল্পীরা কোন প্রনোদনাই পাননি। এমনকি ওই প্রনোদনা দেয়ার তথ্যও তাদেরকে জানানোই হয়নি। এমনকি জামাত-বিএনপির সাথে সরাসরি জড়িত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অশিল্পী ব্যক্তিকে শিল্পী হিসেবে প্রনোদনা দেয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত পরিচয় থাকায় অন্য জেলার বাসিন্দা অনেকেই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। শিল্পকলার সরকারি কর্মচারির পরিবারের সদস্যের নামেও নেয়া হয়েছে এ সহায়তা। প্রধানমন্ত্রীর একটি মহতি উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এ অবস্থায় অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জুলিয়া সুকায়না, বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক আব্দুল হাকিম, চিত্রশিল্পী শামসুজ্জামান পান্না, সংগীত শিল্পী হাসিয়ারা খাতুন হাসি, শিপ্রা দাস, হুমায়ুন আহমেদ, চিত্রশিল্পী আশিষ রায়, নাট্যশিল্পী শামীম শরীফ, কবি ও সাংবাদিক লিটন ঘোষ জয়, সাংস্কৃতিক সংগঠক কামরুজ্জামান বিপ্লব, শরীফ স্বাধীনসহ অন্যরা। শিল্পীরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক বরাবরে স্মারকলিপির কপি পাঠিয়েছেন।

শিল্পীদের স্মারকলিপির গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনুদান বিতরণে কোনপ্রকার দূর্র্নীতি হলে তার বিচারের আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবকি হলেই একটি সাধারণসভা করে সকল শিল্পীদের নিয়ে শিল্পকলাকে আরও গতিশীল করা হবে জানান।

আগামীনিউজ/জনী

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner