রাজশাহীঃ জেলার বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল তৃতীয় বিয়ে করেছেন। এবার বিয়ে করেছেন মেয়ের বয়সী এক তরুণীকে। এর আগে দুই বিয়ে করলেও কয়েকদিন আগে প্রথম স্ত্রীর কাছে অত্যাচারিত হন মেয়র! গোপন জায়গায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। সবশেষ তৃতীয় বিয়ে করে তিনি আবারো আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
আব্দুল মালেক ভবানীগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।
তৃতীয় বিয়ের বিষয়টি মেয়র নিজেই তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন। বিবাহিতা স্ত্রীর সাথে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লিখেন, “‘পুরাতন সব কিছু বাদ দিয়ে তৃতীয় বিয়ে সম্পন্ন করলাম। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি; যেন আমি ও আমার নতুন জীবন সঙ্গী সুখে থাকতে পারি।’’ এরপরই ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিভিন্নজনের নজরে এসে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, মেয়র আব্দুল মালেক বিয়েটি করেছেন গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল)। একই উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের লাউপাড়া গ্রামের আব্দুল মোনাফের মেয়ে নুপূর আক্তারের (১৯) সাথে তিন লক্ষ টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরীয়ত ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে মেয়রের ভাই, কাউন্সিলর, আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের আগের দিন পৌর মেয়র তার ৪০ বছর ধরে সংসার করে আসা প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। তার কয়েকদিন আগেই সেই স্ত্রীর হাতে মারধরের শিকার হয়ে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আঘাত পান গোপনাঙ্গে।
স্থানীয়রা জানান, মেয়র আব্দুল মালেক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে তার প্রথম স্ত্রী কহিনুর বেগমকে তালাক দেন। একইসঙ্গে কহিনুর ও তার ছেলের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। এরপর থেকে ওই স্ত্রী ও সন্তান ঘরবাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছেন। এরই ফাঁকে মেয়র সম্পন্ন করলেন তৃতীয় বিয়ে। ফলে বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
নুপুর ছাড়াও অপর এক নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করে ব্যপাক সমালোচনার মুখে পড়েন আব্দুল মালেক। শেষ পর্যন্ত পরিবারের চাপে তিনি ওই নাবালিকাকে তালাক দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে নেন।
আগামীনিউজ/এএস