রাজশাহী: নগরীতে মো. হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীদের লুটপাট ও ভাংচুর চালানোর ঘটনায় থানা পুলিশ নিরব ভূমিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা না নিয়ে থানার ওসি সিটি মেয়রের সাথে বসে মীমাংসা করার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর নওদাপাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি।
হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ফুফুর জমিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্ত শনিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড (পশ্চিম) আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান (মনি) জমিটি অবৈধভাবে দখলের জন্য ২৫- ৩০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়।
এ সময় বাড়ির নারী সদস্যদের শ্লীলতাহানি করে তারা। এ সময় আমার প্রতিবেশী মো. আকতারুজ্জামান এমন হামলার ঘটনা দেখে শাহ মখদুম থানার ওসি ও ডিউটি অফিসারকে অবগত করেন। কিন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে গড়িমসি করে। ফলে আকতারুজ্জামান এবার পুলিশের জরুরী কল সেন্টার ৯৯৯-এ কল দেন এবং সেখান থেকে থানায় নির্দেশ দিয়ে পুলিশ পাঠানো হয়।
হাবিবুর রহমানের দাবি, পুলিশ গিয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে উভয়পক্ষকে থানায় যেতে বলেন এবং সকলেই থানায় হাজির হয়। কিন্ত ওসি জমি দখলকারীদের পক্ষ নিয়ে মীমাংসা করে নিতে সিটি মেয়রের কাছে যেতে বলেন। ফলে ভুক্তভোগীরা এমনটা না মেনে বাসায় ফিরতে লাগলে ফেরার পথে অস্ত্রধারীরা পথরোধ করে এবং মো. আকতারুজ্জামানকে ছুরিকাঘাত করে মেরে ফেলতে উদ্যত হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়ে আবার থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা না নিয়ে সাধারণ অভিযোগ নেন। এ ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতপূর্বক সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের প্রশ্রয়দাতা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে শাহ মখদুম থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ কোনো গড়িমসি করে নি। থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই অভিযোগ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে সিটি মেয়রের সাথে বসে মীমাংসা করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো কথা আমি বলি নি। ভুক্তভোগীরা নিজেরাই মেয়রের কাছে যেতে চাচ্ছিল।’
এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড (পশ্চিম) আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান (মনি) বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। এসবের মধ্যে অযথা আমাকে জড়ানো হচ্ছে।’
আগামীনিউজ/নাহিদ