1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

নারায়ণগঞ্জে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

রফিকুল ইসলাম রফিক, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি  প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২১, ০৮:২৪ পিএম নারায়ণগঞ্জে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ছবি: আগামী নিউজ

নারায়ণগঞ্জ : ব্যান্ডেজে মোড়ানো শরীরের বিভিন্ন অংশ। গলা ও ঘাড়ে কুড়ালের কোপের আঘাতের চিহ্ন। কোথাও কোথাও রক্ত ঝরছে। প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছে যুবকটি। আর এদিক–ওদিক তাকিয়ে স্ত্রী-স্বজনদের খুঁজছে। মাঝেমধ্যে কেঁদে উঠছে।

গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যার তাঁর উপর সোনারগাঁয়ের বারদীর শান্তিরবাজারে হামলা চালায় দুবৃর্ত্তরা। ওই হামলায় মুহুর্তেই অশান্ত হয়ে উঠে পুরো গ্রাম। মৃত ভেবে ফেলে গেলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

প্রথমে তাঁকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে ঢাকার পুঙ্গু হাসপাতালে। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের নারী ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে যুবকের।

আহত যুবকের নাম জুয়েল (৩০)। সে উপজেলার মছলেন্দপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এলাকাটিতে জমি ও বালু ব্যবসা করতেন।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, রোজার ৬ষ্ট তম দিন ছিল সেদিন। কিছুক্ষণ পরই ইফতার, কেউ ফলমূল কিন ছিলেন। কেউ ইফতার সামগ্রী। শেষ মুহুর্তের ইফতার সামগ্রী বেচা বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত ছিল দোকানীরাও। হঠাৎ সোনারগাঁয়ের শান্তিরবাজার মান্দারপাড়া এলাকার মৃদ আদু বেপারীর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান ওরুফে হাবু ডাকাতের নেতৃত্বে তাঁর ছেলে আশিক, খলিল মিয়ার ছেলে মামুন, মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে মো. ডালিম, নুর মোহাম্মদের ছেলে ফাহিম, শুক্কুর আলীর ছেলে ফালাইনা ও মাওলানের ছেলে রহিমসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন জুয়েলকে কুপিয়ে জখম করেন। এ দৃশ্য দেখে মুহুর্তেই পুরো বাজারের দোকান বন্ধ ও ক্রতা শূণ্য হয়ে যায়।

আহত জুয়েলের জমজ ভাই মো. সোহেলের স্ত্রী রুনা বেগম বলেন, হাবু ডাকাতের জন্য শুধু শান্তিরবাজার নয়, আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত। তাঁর হামলার পর বাজারে একটি গাড়িও ছিল না রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য। গ্রাম থেকে গাড়ি যোগার করে হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে।

জাকারিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ঘটনাটি বড় নির্মম। বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল ফেলে দেওয়া হয়েছে। পায়ের গুড়ালির মাংষ নেই। এছাড়াও গলায় চাকুর আঘাত, কাধে ও পিঠে কুড়াল দিয়ে কোপানো হয়েছে। পুরো শরীরে অন্তত ২০০ সেলাই দিতে হয়েছে। এখনও মৃত্যুর ঝুকি রয়েছে। তাছাড়া সুস্থ হয়ে ওঠলেও এই আঘাত নিয়ে ভয়ে বেড়াতে হবে পুরো জীবন।

এদিকে, হাবিবুর রহমান ওরুফে হাবু ডাকাতের থেকে রক্ষা পেতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। তাদের দাবী, হাবু ডাকাতের অত্যাচারে অতিষ্ট বারদীর ১০টি গ্রামের মানুষ। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, ভূমি দখল, মাদকসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে সোনারগাঁ থানায়।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় মামলা হয়েছে। আসামী ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব আসামীকে আইনের আওতায় আনবো।

আগামীনিউজ/নাহিদ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner