গাজীপুর: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্যানাসিয়া ক্লথিং গার্মেন্টস কারখানার এক শ্রমিক শরিফুল ইসলাম (২৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বিকেল পর্যন্ত বিক্ষোভ ও কর্ম বিরতি করেছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে চৌধুরী বাড়ি এলাকার ওই কারখানার ভিতরেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। সে ময়মনসিংহের সদর থানার পুটিয়ালী এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে এবং ওই কারখানার সুইং অপারেটর পদে চাকুরি করতেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এসআই সুব্রত দেব জানান, সোমবার সকালে শরিফুল কাজে যোগ দিয়ে কারখানা ভবনের ৫ম তলায় তার ব্যবহৃত মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেন। এ সময় বাম হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি অসুস্থ্ হয়ে পড়েন। কারখানার লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় তায়েরুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরিফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
সহকর্মী শরিফুলের মৃত্যুর খবর কারখানায় পৌছলে শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। পরে নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে কারখানায় নিয়ে আনে শ্রমিকেরা। শ্রমিকেরা শরিফুলের মৃত্যুর ঘটনার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে সকাল ৮টা হতে কর্মবিরতি শুরু করে। তারা কারখানার ভিতরেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় তারা নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবী জানায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশের মধ্যস্থতায় শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে শ্রম আইন অনুযায়ী সকল পাওনাদি ঈদের আগেই নিহতের পরিবারকে প্রদানের ঘোষণা দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পরে কারখানার সামনে জানাযা শেষে দাফনের জন্য নিহতের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তার স্বজনরা। শরিফুল গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোগড়ার কেনাকাটা গলি এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে প্যানাসিয়া ক্লথিং গার্মেন্টসে সুইং অপারেটর পদে চাকুরি করতেন।
আগামীনিউজ/নাহিদ