1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি
২০২০-২১ অর্থবছরের ৯ মাস

বেনাপোল দিয়ে আমদানি বেশি, রফতানি কম

মনির হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২১, ০১:১৪ পিএম বেনাপোল দিয়ে আমদানি বেশি, রফতানি কম
ছবিঃ সংগৃহীত

যশোরঃ দেশের সবচেয়ে বড় স্থল বন্দর  যশোরের বেনাপোল। সরকারের বেশি রাজস্ব আদায় হয় এখান  থেকে। বন্দরটি দিয়ে পণ্য আমদানি বেশি হয়। আর রপ্তানি হয় আমদানির চার ভাগের এক ভাগ।

চলতি ২০২০-২১ বছরের প্রথম ৯ মাসে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৭৫ ২৭৯ দশমিক ৪ মেট্রিক টন।২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি করা হয়  এক লাখ ৫৭ হাজার ৪২৮ দশমিক ১৭ মেট্রিক টন। আর চলতি অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৭৭ মেট্রিক টন।

২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি করা হয় দুই লাখ ৩২ হাজার ৯৮২ মেট্রিক টন। চলতি বছরে প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫৮৮ কোটি টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ৩০৬৩ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব পিছিয়ে আছে এক হাজার ৫২৪ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা। বেনাপোল কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮১১ মেট্রিক টন পণ্য। আর ভারতে রপ্তানি হয়েছে ১৮ লাখ ৭২ হাজার ২১০ মেট্রিক টন পণ্য।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয় ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৮ মেট্রিক টন পণ্য।

বিপরীতে রপ্তানি হয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৩৯ মেট্রিক টন পণ্য। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমদানি ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৯ মেট্রিক টন, রপ্তানি ৩ লাখ ২৫ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন । ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমদানি ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫৯ মেট্রিক টন, বিপরীতে রপ্তানি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৬৩ মেট্রিক টন । ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আমদানি ২১ লাখ ৮১ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন, বিপরীতে রপ্তানি ৪ লাখ এক হাজার ১১৭ মেট্রিক টন।

২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন, বিপরীতে রপ্তানি ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। বেনাপোল বন্দর দিয় আমদানি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে, শিল্প-কারখানা ব্যবহৃত কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, মেশিনের যন্ত্রাংশ, সুতা ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দ্রব্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য। মাছ মেলামিন তৈরি পোশাক জুতা, ঝুট ও বসুন্ধরা টিস্য,ু উল্লেখযোগ্য । যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান জানান। স্থল পথে যাতায়াত সহজ হওয়ার বেনাপোল দিয়ে পণ্য আমদানি বেশি হয়ে থাকে । অথচ বন্দরটি অবহেলিত।

সরকারের এদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন, বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন হলে এখান থেকে আমদানি পরিমাণ আরও বাড়বে ব্যবসায়ীদের জন্য ও ভালো হবে। সেই সাথে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেড়েযাবে জানা গেছে, প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা পণ্য আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে।তবে চলতি দুই হাজার ২০২০-২১ অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ৬১৩৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, দেশের স্থল পথে আমদানি রপ্তানির ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল দিয়ে।

তবে কাঙ্খিত অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় অনেকে এ পথে বাণিজ্য আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। বন্দরের সক্ষমতা বাড়লে বেনাপোল দিয়ে সরকারের রাজস্ব দ্বিগুণ আদায় হত। বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক জানান, বন্দর এর ভিতরে জায়গা স্বল্পতার যএতএ পণ্য রাখতে হচ্ছে। এতে রোদ-বৃষ্টিতে পূর্ণ গুণগত নষ্ট হচ্ছে এবং চুরি আতঙ্ক থাকে।

এছাড়া ও বন্দরে ক্রেন ও ফর্কক্লিপের  সংকট বহুদিনের। বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, আজ ও ভারত বাংলাদেশ নেপাল ভুটান (বিবিআইএন) চার বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়নি। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নায়ন হলে বছরে এখান থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে। বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, ইতিমধ্যে বেনাপোল বন্দর সম্প্রসারণের নতুন জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি আধুনিক পণ্যাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার জন্য বাজেট হয়েছে।

এছাড়া নিরাপত্তা বাড়াতে উঁচু প্রাচীর ও নির্মাণ করা হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমের কমিশনার মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, আমরা ব্যবসায়ীদের বৈধ্য সুবিধা বাড়ানোর পক্ষে। ইতিমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ কে অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধির জন্য চিঠি দিয়েছি। বন্দরের সক্ষমতা বাড়লে বেনাপোল দিয়ে পণ্য আমদানি বেড়ে যাবে। সেই সাথে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আহরণ।

বর্তমানে উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কম, এবং কম শুল্কযুুক্ত পণ্য আমদানি হওয়ার কারণে রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। আশা করছি করোনার পরিস্থিতির উন্নতি হলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে।

আগামীনিউজ/এএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner