1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

রূপগঞ্জে ধান কাটার শ্রমিকের অভাব

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২১, ১১:০১ এএম রূপগঞ্জে ধান কাটার শ্রমিকের অভাব

রূপগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বৈশাখের প্রথম দিন থেকেই ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু করেছে স্থানীয় কৃষকেরা। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে ওঠলেও ধান কাটার শ্রমিকই পাচ্ছেন না তারা। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ফলন বেশি হয়েছে বলে কৃষকদের ধারনা। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা।

গোটা দেশে করোনার কারনে কঠোর লকডাউন চলছে। গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। যদিও ধান কাটার শ্রমিকদের জন্য লকডাউন শিথিলযোগ্য। তারপরও বরিশাল, ময়মনসিংহ, শেরপুর, পাবনা ও কিশোরগঞ্জ থেকে শ্রমিক না আসায় পাকা ধান কাটতে পারছে না। গত বছর লকডাউনে অনেকে ধান কেটে দিলেও এবার কারো দেখা নেই। এতে ফসল নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন রূপগঞ্জের কৃষকরা। আর যা-ও কিছু শ্রমিক পাচ্ছেন, তাদের একজন শ্রমিককে মাথাপিছু দিতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। আবার চুক্তিতে ধান কাটালে বিঘা প্রতি গুনতে হচ্ছে ৫হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। সাথে আরো দিতে হচ্ছে তিন বেলা খাবার, বিড়ি ও নাশতার টাকা। এতে করে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় ক্রমেই বেড়ে চলছে।

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কৃষকেরা হতাশা নিয়ে বলেন, আমরা কোন দিকে যাব। বিগত বছরগুলোতে ধানের তেমন একটা ভাল ফলন পাইনি। অতি বৃষ্টিতে ধান তলিয়ে গেল আবার কোনো বছর খড়ায় ধানে চিটা হয়ে গেল। আর এ বছর পাকা ধান কাটাতেই পারছি না। ফসল মাঠে পড়ে আছে। শ্রমিক পাচ্ছি না। আর যা-ও পাচ্ছি তারা আবার অনেক মজুরি হাঁকছে (চায়)। তারপারও শ্রমিকের ভয়াবহ সংকট। উপজেলার খামারপাড়া এলাকার কৃষক আমির হোসেন বলেন, আমি এবার ৩ বিঘা জমি চাষ করেছি। অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। সরকার বলেছিল ঋণ দেবে, আমি কোনো ঋণ পাইনি। ঋণের জন্যে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক জামানত চায়। কিন্তু তারপরও অনেক কষ্টে  ধারদেনা নিয়ে টাকা জোগার করে জমি চাষ করেছি। কিন্তু এখন পাকা ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছি না।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেহা নুর জানান, করোনা ভাইরাসের দ্বিতিয় ঢেউ চলছে। প্রতিদিন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। মৃত্যুও মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সদেস্য। তাই সরকারের নির্দেশে লকডাউন চলছে। ধান কাটার শ্রমিকদের জন্য লকডাউন প্রযোজ্য নয়। আমরা শ্রমিক সংকটের বিষয়টি জানি। ধান কাটার যে মেশিন আছে তা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছি । আমাদের মাঠকর্মীরা সব সময় কৃষকের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি মেশিনের ব্যবহার বাড়ালে এ সমস্যা আর থাকবে না।

আগামীনিউজ/জনী

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner