এঘটনায় আহত ব্যবসায়ী মো.শাহজাহান বাদী হয়ে ৫জন কে অভিযুক্ত করে থানার একটিল লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
হাসপাতালে ভর্তি আহত শাহজাহান জানান, উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের সোমবারীয়া বাজারে গরু, ইট,পাথরের ব্যবসা করে আসিতেছে। দীর্ঘ দিন থেকে একই এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে মো একরাম হোসেন প্রায় তার কাছে চাঁদা দাবী করে আসছে। ইতিপূর্বে তার থেকে চাঁদার কিছু টাকা নিয়েও গেছে।
ঘটনার দিন শাহাজাহান বাড়ী থেকে সোমবারিয়া বাজারে যাওয়ার পথে একরামের নেতৃত্বে একই গ্রামের ভূইয়া বাড়ীর ছানা উল্ল্যার ছেলে মো.মাঈন উদ্দিন ও আলা উদ্দিন, গোপালপুর হইচছা বাড়ীর মো সুমন, পাশ্ববর্তী বেগমগঞ্চ উপজেলার কাদিরপুর পাকি বাড়ীর আবদুর রশিদের ছেলে মো. মিলন তার গতিরোধ করে শুরু করে এলোপাড়াড়ি মারধর। এসময় তার চিৎকার শুনে তার ছেলে সাইফুল ইসলাম এগিয়ে এলে তারা তার ওপরও একই স্টাইলে হামলা চালায়। পিতা ও পুত্র নিরুপাই হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাড়ীতে গিয়ে আশ্রায় নিলে সন্ত্রাসীরা সেই খানে তাদের ওপর হামলা হামলা চালায়।
এ দৃশ্য দেখে ব্যবসায়ী শাহজাহানের বৃদ্ধ মাতা ময়মুনা খাতুন, স্ত্রী শাহীনুর আক্তার, মেয়ে ফারজানা আক্তার ঘটনার প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা এসময় তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বসত ঘর ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এর পর তিনি বাড়ী থেকে আহত অবস্থায় সোমবারিয়া বাজারে এলে ২য় দপায় আবারো তার উপর হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও দামী মোবাইল চিনিয়ে নিয়ে যায় বলে সন্ত্রাসীরা।
এঘটনার প্রতিবাদ করায় আহত শাহজাহানের ভাই হারুনুর রশিদ ও নাছির উদ্দিনের উপরও হামলা চালিয়ে আহত করে। উভয় এঘটনায় একই পরিবারের নারী পুরুয় সহ ১০ জন কে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাত্ব অবস্থায় বৃদ্ধ ময়মুনা খাতুন,ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান,তার স্ত্রী শাহীনুর আক্তার কে সেনবাগ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মো আবদুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।