নোয়াখালীঃ জেলার কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার জেরে আরও দুটি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এর আগে গ্রুপের সংঘাতের জেরে থানায় ও আদালতে পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন উপজেলা আ. লীগের অনুসারী জেলা পরিষদ সদস্য ও ড্রিম লাইন পরিবহনের পরিচালক আক্রাম উদ্দিন সবুজ চৌধুরী (৬০)। অপর মামলাটি দায়ের করেন মির্জা অনুসারী সাবেক কাউন্সিলর শিমুল চৌধুরীর মা ছালেহা নূর আফরোজ।
পাল্টাপাল্টি এ মামলায় আ.লীগের স্থানীয় ২৩৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পিটিয়ে শ্লীলতাহানি, ভাংচুর, রক্তাক্ত করা, হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওসি মীর জাহেদুল হক রনি পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার আলোকে পুলিশ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
থানা সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরক আইনসহ আরও কয়েকটি ধারায় কাদের মির্জার অনুসারী শিমুল চৌধুরীর মা নোয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য ও বৃহত্তর নোয়াখালী পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আক্রাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজকে প্রধান আসামি করে ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
অপরটিতে ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগে উপজেলা আ.লীগের অনুসারী নোয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য আক্রাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ বাদী হয়ে কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনকে (৫৫) আসামি করে ১৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে ফেসবুক লাইভকে কেন্দ্র করে মির্জা কাদের ও উপজেলা আ.লীগ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটে।
আগামীনিউজ/এএস