হাবিব ধামইরহাট উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন শিববাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
তিনি বলেন, এখন আমি শুধু স্বপ্নই দেখিনা, এলাকার মানুষকেও স্বপ্ন দেখাচ্ছি। এছাড়াও বেকার যুবকদের লেবুচাষে উদ্বুদ্ধ করছি। লেবু চাষ করে এখন আমি সফল ও স্বাবলম্বী।
তিনি জানান আমার এক বন্ধুর অনুপ্রেরনায় অল্প পরিসরে প্রথম লেবুর বাগান করি। তখন লেবু গাছের জাত সম্পর্কে আমার কোন ধারনা ছিলোনা যার ফলে বছরে একবার ফলন পেতাম।
বর্তমানে আমি ৩৩ শতক জমিতে লেবুর বাগান গড়ে তুলেছি। বাগান জুড়ে পুরোটাই চায়না-থ্রি বারোমাসি লেবুর গাছ রয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে চায়না-থ্রি বারোমাসি লেবুর গাছ লাগিয়ে বাগান থেকে প্রতিদিন থোকায় থোকায় লেবু পাচ্ছি।’
তিনি জানান, লেবুর রোগ বালাই কম হওয়ায় সব খরচ বাদ দিয়ে বাগান থেকে বছরে প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার লেবু বিক্রয় করে থাকি। একটা মজার বিষয়, বাগান থেকে শুধু লেবুই নয় গাছে কাটিংয়ের মাধ্যমে চারা তৈরি করেও বছরে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব, যা আমি আমার বাগান থেকে পেয়ে থাকি। একটি বারোমাসি লেবু গাছের থোকায় ছয় থেকে আটটি লেবু ধরে থাকে। ভিটামিন সি ও অনান্য পুষ্টি গুণসমৃদ্ধ হওয়ার কারনে এ জাতের লেবুর চাহিদা বাজারে অনেক বেশি।
আগামীনিউজ/এএস